পুলিশ সুপারকে প্রথমে বদলি, তারপর সাসপেন্ড! কোচবিহারের শীতলকুচি কাণ্ডে কড়া মমতা
রাজ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে সময়ে সময়ে পুলিশ এবং প্রশাসনে বড় রদবদল করেছিল নির্বাচন কমিশন (election commission)। এবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে পুরনোদেরই দায়িত্বে ফিরিয়ে আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যা
রাজ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে সময়ে সময়ে পুলিশ এবং প্রশাসনে বড় রদবদল করেছিল নির্বাচন কমিশন (election commission)। এবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে পুরনোদেরই দায়িত্বে ফিরিয়ে আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। তাৎপর্যপূর্ণভাবে কোচবিহারের (coochbihar) পুলিশ সুপার (sp) দেবাশিস ধরকে (debashis dhar) দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
কমিশন পুলিশ সুপার করেছিল দেবাশিস ধরকে
বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন কান্নান। কিন্তু নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীন বিরোধীদের অভিযোগের জেরে তাঁকে সরিয়ে দেবাশিস ধরকে দায়িত্ব দেয় নির্বাচন কমিশন। যদিও দেবাশিস ধরকে দায়িত্ব দেওয়ার পরে তিনি বিজেপির হয়ে কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
১০ এপ্রিলের শীতলকুচি কাণ্ড
চতুর্থদফায়
১০
এপ্রিল
ভোট
ছিল
শীতলকুচিতে।
সেখানকার
জোড়পাটকির
১২৬
নম্বর
বুথে
সকালে
ব্যাপক
গণ্ডগোল
হয়।
কেন্দ্রীয়
বাহিনীর
গুলিতে
মৃত্যু
হয়
সমিউল
মিঞা,
মনিরুল
মিঞা,
হামিদুল
মিঞা
এবং
নূর
ইসলাম
মিঞা
নামে
চারজনের।
এই
ঘটনার
প্রেক্ষিতে
তৎকালীন
পুলিশ
সুপার
দেবাশিস
ধর
রিপোর্টে
বলেছিলেন,
প্রায়
৩০০
জন
বাহিনীকে
ঘিরে
ফেলেছিল।
জওয়ানদের
অস্ত্র
ধরে
টানাটানি
করেছিল।
শূন্যে
গুলি
চালিয়েও
কিছু
হয়নি।
তারপরেই
গুলি
চালায়
কেন্দ্রীয়
বাহিনী।
যা
নিয়ে
ভোটের
প্রচারে
বিজেপির
তরফে
বলা
হয়েছিল,
যে
ঘটনা
ঘটেছিল
তা
দিদির
ছাপ্পা
ভোটের
মাস্টার
প্ল্যানের
অংশ।
অমিত শাহের ষড়যন্ত্র, দেখে নেব বলেছিলেন মমতা
ওই ঘটনার পরেই বিষয়টিকে অমিত শাহের ষড়যন্ত্র বলে আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গুলিতে মৃতদের পরিবারের পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন। বলেছিলেন, এসপির সঙ্গে বসে ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি। আর বলেছিলেন ভোটের পরে দেখে নেবেন, তদন্ত করাবেন আর আসল ঘটনা বের করবেন। কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
পুলিশ সুপারকে প্রথমে বদলি, তারপর সাসপেন্ড
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেওয়ার পরে নির্বাচন কমিশনের সরিয়ে দেওয়া পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের ফের নিজ পদে ফিরিয়ে আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে প্রথমে বদলি করা হয়। দায়িত্বে আনা হয় আগেকার পুলিশ সুপার কে কান্নানকে। আর রাতেই অপসারিত পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরের বিরুদ্ধে সাসপেনশনের নোটিশ দেওয়া হয়।
জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাহিনীর বড় সাফল্য! এনকাউন্টারে মৃত্যু ৩ জঙ্গির, ১ জনের আত্মসমর্পণ