রাহুল যেখানেই সভা করেছেন সেখানেই জমানত জব্দ কংগ্রেসের, একই অবস্থা তৃতীয় ফ্রন্টের ৮৫ % আসনে
রাহুল যেখানেই সভা করেছেন সেখানেই জমানত জব্দ কংগ্রেসের, একই অবস্থা তৃতীয় ফ্রন্টের ৮৫ % আসনে
আইএসএফ-এর একটি আসন বাদ দিলে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে কোনও আসনই পায়নি বাম-কংগ্রেসের (left-congress) কেউই। তৃতীয় ফ্রন্টের (third front) ৮৫% প্রার্থীর জমানত জব্দ হয়েছে এবারের নির্বাচনে। আর উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে রাহুল গান্ধী যে দুই আসনে রাহুল গান্ধী (rahul gandhi) সভা করেছেন, সেদুটি আসনেও কংগ্রেস (congress) প্রার্থীর জমানত জব্দ হয়েছে।
২৯২-এর মধ্যে ৪২ আসনে জমানত রাখতে পেরেছেন প্রার্থীরা
এক বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে তৃতীয় ফ্রন্টের ২৯২ টি আসনে মধ্যে ৪২ টিতে জমানত রাখতে পেরেছেন প্রার্থীরা। একজন প্রার্থী জমানত তখনই বাজেয়াপ্ত হয়, যথন তিনি যে ভোট পড়েছে তার ১৬.৫% না পান। বামেদের পাশাপাশি কংগ্রেসের বেশিরভাগ প্রার্থীই এই শর্ত পূরণ করতে পারেননি। এবারের নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের থেকে আইএসএফ তুলনামূলক ভাল ফল করেছে।
কংগ্রেসের পক্ষে বিব্রতকর
১৪ এপ্রিল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী সভা করেছিলেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি এবং গোয়ালপোধরে। সেই দুটি আসনের ফলাফল কংগ্রেসের পক্ষে বিব্রতকর। কেননা এই দুই আসনের কংগ্রেস প্রার্থীরা জমানত খুইয়েছেন। কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি আসনটি দখলে রেখেছিল। কিন্তু এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসের বিদায়ী বিধায়ক শঙ্কর মালাকার মাত্র ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। গোয়ালপোখরেও কংগ্রেস প্রার্থী তৃতীয়স্থানে চলে গিয়েছেন ১২ শতাংশ ভোট পেয়ে। কংগ্রেস এই আসনটি ২০০৬ থেকে ২০০৯ এবং ২০১১ থেকে ২০১৬-র মধ্যে দখলে রেখেছিল।
বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ-এর অবস্থা
নির্দিষ্ট করে তৃতীয় ফ্রন্টের তিন শরিকের মধ্যে বামেরা ১৭০ টি আসনে লড়াই করেছিল। তার মধ্যে ২১ টিতে তারা জমানত ধরে রাখতে পেরেছে। অন্যদিকে কংগ্রেস ৯০টি লড়াই করে এগারোটিতে আর আইএসএফ ৩০ টি আসনে লড়াই করে ১০ টি জমানত ধরে রাখতে পেরেছে। আইএসএফ একটি আসনে জয়ী হয়েছে। আর চারটি আসন হাড়োয়া, বসিরহাট উত্তর, দেগঙ্গা, ক্যানিং পূর্বে বিজেপিকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তৃতীয় ফ্রন্টে ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির দলের সাফল্য বলতে এটাই।
যেখানে যেখানে দ্বিতীয় বাম-কংগ্রেস
বাম প্রার্থীরা রাজ্যের মাত্র চারটি আসনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। অন্যদিকে কংগ্রেস রয়েছে মাত্র দুটি আসনে( জয়পুর এবং রানিনগর)। এবার তৃতীয় ফ্রন্টের ভোট কমে সরাসরি উপকৃত হওয়া তৃণমূল কংগ্রেস ২১৩ টি আসনে জয়ী হয়েছে। ২০১৬-তে তারা ২১১ টি আসনে জয়ী হয়েছিল। এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস ২.৯৪% এবং বামেরা ৫% ভোট পেয়েছে।