বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, আমন্ত্রণের সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীকেও
বিশ্বভারতী (viswabharati university) আগামী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি এক বৈঠকে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের
বিশ্বভারতী (viswabharati university) আগামী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি এক বৈঠকে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী তথা আচার্য নরেন্দ্র মোদীরও।
'চোখের আলো' দেখাতেও কাটমানি ভাইপোর, উত্তরবঙ্গে অভিষেককে নিশানা শুভেন্দুর
১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতীর সমাবর্তন
১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান। আম্রকুঞ্জে হবে সেই অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী তথা আচার্য নরেন্দ্র মোদীর। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শান্তিনিকেতনে যাবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়াল নিশাঙ্ক, এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তবে করোনা পরিস্থিতিতে ওই অনুষ্ঠানে কতজন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত থাকবেন কিংবা তাঁদের হাতে মানপত্র তুলে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি।
সমাবর্তনে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ
বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে বিশ্বভারতী। এব্যাপারে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ সূচনা অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।
উপাচার্যকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর
গত কয়েকমাস ধরেই বিশ্বভারতীর সঙ্গে নবান্নের সংঘাতের পরিস্থিতি চলছে। সেই পরিস্থিতিতে সেখানকার উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে বিজেপি ঘনিষ্ঠ বোঝাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির মার্কামারা বলেও কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এব্যাপারে উপাচার্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত
রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিশ্বভারতীর সংঘাত চলছে গত কয়েকমাস ধরে। সর্বশেষ সংঘাত হল একটি রাস্তা নিয়ে। সূত্রের খবর অনুযায়ী যাতায়াতের সুবিধার জন্য ২০১২ সালে রাজ্য সরকারের কাছে আশ্রম এলাকায় কালীসায়ের থেকে পোস্ট অফিস মোড় পর্যন্ত রাস্তার জন্য আবেদন জানিয়েছিল বিশ্বভারতী। ২০১৭ সালে হস্তান্তর করা হয় ২.৯ কিমি রাস্তা। অমর্ত্য সেনের বাড়ি বিতর্কের মধ্যে গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে রাস্তাটি ফিরিয়ে নেয় পূর্ত দফতর। কার্যত এর পাল্টা হিসেবে শান্তিনিকেতনে দুরদর্শন কেন্দ্র লাগোয়া সুরশ্রী পল্লি যাওয়ার একটি রাস্তায় পাঁচিল তুলে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত অগাস্টে মেলার মাঠে দেওয়ার দেওয়ার বিরোধিতা করে সেখানে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে শাসকদরে নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে। পে লোডার দিয়ে পাঁচিল গুড়িয়ে দেওয়া হয়। যেই ঘটনায় দুবরাজপুরের বিধায়ক নরেশ বাউড়ি, পুর প্রশাসক সুকান্ত হাজরা, ব্যবসায়ী সমিতির নেতা সুনীল সিং-সহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছিল কর্তৃপক্ষের তরফে। নির্মাণ কাজ ভাঙতে কীভাবে বহু মানুষের সমাগম হল, তার তদন্ত করতে বিশ্বভারতীর তরফে ইডিকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।