নন্দীগ্রামকেই কেন্দ্র করেই বাংলায় একুশের ভোটে লড়বেন মমতা, বড় সিদ্ধান্তের পথে তৃণমূল
নন্দীগ্রামকেই কেন্দ্র করেই বাংলায় একুশের ভোটে লড়বেন মমতা, বড় সিদ্ধান্তের পথে তৃণমূল
নন্দীগ্রামের (nandigram) মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) ঘোষণা করেছিলেন, তিনি আগামী নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকেই লড়াই করবেন। তবে সেই সময় তিনি ভবানীপুর থেকে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম থেকে ঘোষণা
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে প্রথম সভা করেন ১৮ জানুয়ারি। সেই সভা থেকেই তিনি নন্দীগ্রাম থেকে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম তাঁর কাছে লাকি। ২০১৬-র প্রার্থী তালিকা তিনি নন্দীগ্রামেই প্রকাশ করেছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৫-র ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে নন্দীগ্রামে সভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই আসন থেকে শুভেন্দু অধিকারীর প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন।
ভবানীপুর বড় বোন, নন্দীগ্রাম মেজো বোন
১৮ জানুয়ারি নিজের ভাষণের শুরুর দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, নন্দীগ্রাম থেকে একজন ভাল মানুষকে দাঁড় করাতে চান তিনি। কিছু পরেই তিনি সুব্রত বক্সির উদ্দেশে বলেছিলেন, নন্দীগ্রামে প্রার্থী তালিকায় যএন তাঁর নাম থাকে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই নন্দীগ্রামে নিজের প্রার্থী পদের কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, এব্যাপারে ভবানীপুরের মানুষ যেন তাঁকে ভুল না বোঝেন। তিনি ভবানীপুরকে বড় বোন আর নন্দীগ্রামকে মেজো বোনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ভবানীপুরের মানুষ যেন তাঁর প্রতি রাগ না করেন। তিনি দুই আসন থেকেই লড়াই করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের প্রার্থীপদ ঘোষণা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন বিরোধীরা। তাঁদের মতে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত।
সব আসনে তিনিই প্রার্থী
বিরোধী প্রচারের মোকাবিলায় নন্দীগ্রাম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ২৯৪ টি আসন থেকে তিনিই প্রার্থী। ফলে তিনি কোনও কেন্দ্রেই বেশি সময় দিতে পারবেন না। এইকথা তিনি ২০১৬-র নির্বাচনের আগেও বলেছিলেন।
শুধুমাত্র নন্দীগ্রামেই প্রাথী হবেন মমতা
ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে তৃণমূল কংগ্রেসের সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ২০২১-এর নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। পাশাপাশি ভবানীপুরের জন্য যোগ্য প্রার্থীর নামও চূড়ান্ত করে ফেলেছে ঘাসফুল শিবির। তবে সেই প্রার্থীর নাম এখনও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন রেলমন্ত্রী। নির্বাচনের পরে সুব্রত বক্সি ভবানীপুর সেই আসনটি ছেড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উপনির্বাচনে জেতেন মমতা । এরপর ২০১৬-র নির্বাচনেও ওই একই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৬-র নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৬৫, ৫২০ ভোট। যা মোট ভোটের ৪৭. ৬৭ শতাংশ। ২০১১-র উপনির্বাচনে তিনি ৭৩, ৬৩৫ ভোট পেয়েছিলেন। তবে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ভবানীপুর আসন থেকে তৃণমূল খুব সামান্য ভোটে এগিয়ে রয়েছে। তৃণমূলের ৬১, ১৩৭ ভোটের বিপক্ষে বিজেপি পেয়েছিল ৫৭, ৯৬৯ ভোট।
মুকুল-শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ তৃণমূল বিধায়কের, ভোটের মুখে জল্পনা উসকালেন প্রাক্তনমন্ত্রী