বিজেপিকে ঠেকাতে তৃণমূলের ভরসা প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক, প্রার্থী তালিকায় থাকা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
নির্বাচন ঘোষণার পরে ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও এখনও প্রার্থী তালিকায় ঘোষণা করেনি তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress)। সেই তালিকায় নানা চমক নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সেই তালিকায় যেমন টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা থাকতে পারেন,
নির্বাচন ঘোষণার পরে ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও এখনও প্রার্থী তালিকায় ঘোষণা করেনি তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress)। সেই তালিকায় নানা চমক নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সেই তালিকায় যেমন টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা থাকতে পারেন, আবার সেখানে সদ্য দলে যোগ দেওয়া চারবারের প্রাক্তন সিপিএম (cpim) বিধায়ক (mla) লগনদেও সিং (lagandeo singh) থাকতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
মধ্য ফাল্গুনেই তপ্ত বাংলা, আগামী কয়েকদিনের তাপমাত্রা নিয়ে সতর্কবার্তা হাওয়া অফিসের
মমতার উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ প্রাক্তন বিধায়কের
বুধবার
হুগলির
সাহাগঞ্জে
সভা
করেন
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই
সভায়
টলিউডের
একঝাঁক
অভিনেতা-অভিনেত্রী
তৃণমূলে
যোগদান
করেন।
কিন্তু
সবার
আড়ালে
সেদিন
তৃণমূলের
যোগ
দিয়েছিলেন
উত্তর
হাওড়ার
প্রাক্তন
সিপিএম
বিধায়ক
লগনদেও
সিং।
১৯৯১
সাল
থেকে
একটানা
চারবার
উত্তর
হাওড়ার
বিধায়ক
পদে
ছিলেন
লগনদেও
সিং।
সূত্রের
খবর
অনুযায়ী,
২০১১
সালে
দুর্নীতির
অভিযোগ
ওঠায়
তাঁকে
প্রার্থী
করেনি
সিপিএম।
আর
২০১৬-তে
ওই
কেন্দ্র
কংগ্রেসকে
ছেড়ে
দিয়েছিল
সিপিএম।
ধীরে
ধীরে
সিপিএম
থেকে
দূরে
সরেছেন
একসময়ে
এলাকার
প্রভাবশালী
বলে
পরিচিত
লগনদেও
সিং।
স্থানীয়
বাসিন্দারা
বলে
থাকেন,
একটা
সময়ে
সিটু
নেতা
হিসেবে
হাওড়ায়
নীল
কুলিদের
সংগঠন
ছাড়াও
সংবাদপত্র
বিক্রেতাদের
সংগঠন
এবং
হুগলি
নদী
জলপথ
পরিবহণ
সমিতি
নিয়ন্ত্রণ
করতেন
তিনিই।
পাশাপাশি
এই
অভিযোগও
উঠেছিল
যে,
তিনি
হাওড়ায়
সিপিএম-এর
তহবিল
সংগ্রহের
মাথা
ছিলেন।
তাই
তাঁকে
সেই
সময়
বিশেষ
চটাতেন
না
তৎকালীন
জেলা
সিপিএম
নেতারা।
দল দায়িত্ব দিলে পালন করবেন
লগনদেও সিং সরাসরি তৃণমূলে যুক্ত না হলেও, তাঁর স্ত্রী হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর ২০১৭-তেই যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। এব্যাপারে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, কংগ্রেস বিরোধী রাজনীতি করেন তিনি। ফলে সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করায় তিনি সেখান থেকে সরে এসেছেন। আর বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক বলে অভিযুক্ত করেছেন তিনি। বলেছেন, দল যে দায়িত্ব দেবে, তা তিনি পালন করবেন। আর তিনি দায়িত্ব পেলে যে জয় যে আসবে সেব্যাপারে তিনি নিশ্চিত।
উত্তর হাওড়ায় ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল
পরিবর্তনের বছর ২০১১-তে তৃণমূল প্রার্থী অশোক ঘোষ ওই কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। আর ২০১৬-তে ওই কেন্দ্র থেকে লক্ষ্মীরতন শুক্লা জিতেছিলেন প্রায় ২৭ হাজার ভোটে। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল এই কেন্দ্রে পিছিয়ে আছে প্রায় তিন হাজার ভোটে। তারপর লক্ষ্মীরতণ শুক্লাও সরে গিয়েছেন। ফলে অবাঙালি অধ্যুষিত ওই কেন্দ্রে এবারও এক অবাঙালিকেই গুরুত্ব দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনটাই মনে করছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। জল্পনা আরও বেড়েছে লগনদেও সিং তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকে।
উত্তর হাওড়ায় তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে প্রচার
যদিও এসবকে গুরুত্বে নাগাজ স্থানীয় তৃণমূলের একাংশ। কিন্তু তার আগেই সিপিএম-এর ছাপ্পা ভোটের বিরুদ্ধে লড়াই করা উত্তর হাওড়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে গৌতম চৌধুরীর নাম লেখা ফ্লেক্সে ছেয়ে গিয়েছে বামুনগাছি, সালকিয়া, বাবুডাঙার মতো এলাকা। লেখা হয়েছে, গৌতম চৌধুরীকেই প্রার্থী হিসেবে চায় স্থানীয় তৃণমূলীরা। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে প্রচার। এখন অপেক্ষা প্রার্থী তালিকা ঘোষণার।