'তোলাবাজ বিধায়ক' প্রার্থী হতেই সরব নেতা-কর্মীরা, মেদিনীপুরে বড় ভাঙন তৃণমূলে
কেশিয়াড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে পরেশ মুর্মু প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয় বার মনোনীত হন। তারই প্রতিবাদে অন্যান্য দলীয় নেতাকর্মীরা দল ছাড়লেন। প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই 'উনি বহিরাগত' বলে অভিযোগ উঠল কেশিয়াড়িতে। ঘটনায় দল ছাড়লেন তৃণমূলের একাধিক কর্মীরা। এছাড়া বিক্ষোভেও সামিল হন। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের ঘটনা।
কেশিয়াড়ি বিধানসভা থেকে মনোনীত হন পরেশ মুর্মু
শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণা হয়। তাতে কেশিয়াড়ি বিধানসভা থেকে মনোনীত হন পরেশ মুর্মু। তারপরেই কর্মীরা দল থেকে পদত্যাগ ও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দল ছাড়লেন রাজ্য কমিটির সদস্য-সহ ৯টি অঞ্চলের যুব সভাপতি। তৃণমূল নেত্রী কল্পনা সিট অভিযোগ করেন, পরেশ মুর্মু দলের কারোর সঙ্গে আলোচনা না করেই বিভিন্ন পদক্ষেপ করেন।
বিদ্রোহের আগুন জ্বলল ঘাসফুল শিবিরে
২০১৬-র বিধানসভা ভোটে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি কেন্দ্রে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী পরেশ মুর্মু। কিন্তু এবার ফের তাঁকে প্রার্থী করতেই বিদ্রোহের আগুন জ্বলল ঘাসফুল শিবিরে। পরেশ মুর্মুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ২০১৬ সালে বিধায়ক পদে নির্বাচিত হওয়ার পর ওই চেয়ারটা নিজের সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেছেন। দলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনও বিষয়ে আলোচনা করেননি বিধায়ক। সরকারি প্রকল্পগুলি নিজের মতো দিয়েছেন। যা নিয়ে ক্ষোভ চরমে উঠেছে বিধায়কের বিরুদ্ধে।
'দুর্নীতিগ্রস্ত, তোলাবাজ, চরিত্রহীন বিধায়ক'
পরেশ মুর্মুর বিষয়ে কল্পনা সিট বলেন, 'উনি দুর্নীতি গ্রস্ত। শিক্ষক বদলির জন্য টাকা নিয়েছেন। সরকারি চাকরি নিজস্ব এজেন্সির মাধ্যমে দিয়ে থাকেন। ওনার মতো দুর্নীতিগ্রস্ত, তোলাবাজ, চরিত্রহীন বিধায়ক পরেশ মুর্মুকে পুনরায় প্রার্থী করার জন্য দল ছাড়তে বাধ্য হলাম। গত পাঁচ ধরে চাকরি দেওয়ার নাম করে বেকার যুবকদের কাছে টাকা তুলেছেন পরেশ মুর্মু।'
কেন তাঁকে প্রার্থী করা হল?
তৃণমমূল কর্মীদের অভিযোগ, বিধায়কের তোলাবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগে বিরুদ্ধে সোচ্চার কেশিয়াড়ির মানুষ। এরপরেও কেন তাঁকে প্রার্থী করা হল? তাঁদের দল ত্যাগে ভোট ব্যাঙ্কেও প্রভাব পড়বে বলে তাঁরা মনে করছেন। তবে দল পরিবর্তনের প্রসঙ্গ নিয়ে কার্যত এড়িয়ে গেলেন পদত্যাগকারী তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এর ফলেই অনেকটাই অস্বস্থির মধ্যে পড়তে পারে জেলা তৃণমূল। এটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।