নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর মোকাবিলায় পরিকল্পনা তৈরি তৃণমূলের, মমতার জন্য দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হচ্ছে সাংসদদের
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা নিয়ে তৃণমূলে (trinamool congress) প্রস্তুতি তুঙ্গে। অন্যদিকে সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১১ মার্চ মনোনয়ন পত্র জমা দিতে নন্দীগ্রাম যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। তবে ভোটের কাজ পরিচালনা
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা নিয়ে তৃণমূলে (trinamool congress) প্রস্তুতি তুঙ্গে। অন্যদিকে সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১১ মার্চ মনোনয়ন পত্র জমা দিতে নন্দীগ্রাম যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। বিরুদ্ধে সম্ভাব্য প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী(suvendu adhikari) তবে ভোটের কাজ পরিচালনা করার জন্য যা প্রথমে লাগে, সেই অফিসও তৈরি তৃণমূলের তরফে জানা গিয়েছে নন্দীগ্রামের (nandigram) দুটি ব্লকে দুটি অফিস খুলছে তৃণমূল কংগ্রেস। এছাড়াই দুই সাংসদদে পৃথক দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
ভোট পরবর্তী জোট, কোথায় থাকবেন, অবস্থান জানালেন আব্বাস সিদ্দিকি
শুভেন্দুর হাতের তালুতে নন্দীগ্রাম
প্রথমে ২০০৭-এ নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনে যোগ। তারপর ২০০৯ সাল থেকে নন্দীগ্রামে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রথমে সাংসদ পরবর্তী সময়ে ২০১৬-তে সেই নন্দীগ্রাম থেকে বিধায়ক হয়ে রাজ্যের মন্ত্রীর। এরপর বিজেপিতে যোগদান। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনিই নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। আর শুভেন্দু অধিকারী তো চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন, ৫০ হাজার ভোটে হারাবেন মাননীয়াকে।
জবাব দিতে পরিকল্পনা তৃণমূলের
তবে তৃণমূলের দাবি হারবেন শুভেন্দু অধিকারী। একেতে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী, তার ওপরে বিরুদ্ধে সম্ভাব্য প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। ফলে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে ঘাসফুল শিবিরে। নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকে দুটি অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নন্দীগ্রাম এক ব্লক সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আর নন্দীগ্রাম দুই ব্লকে সংখ্যাগুরু অধ্যুষিত।
১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম থেকেই ঘোষণা মমতা
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে ১৮ জানুয়ারি প্রথমবার নন্দীগ্রামে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকেই তিনি নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। বলেছিলেন নন্দীগ্রাম তাঁর কাছে বড় বোন আর ভবানীপুর তাঁর কাছে মেজো বোনের মতো। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের পাশাপাশি ভবানীপুর থেকে দাঁড়াবেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
আগেই প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূল
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮ জানুয়ারি নিজের প্রার্থীপদ ঘোষণার পরের দিন থেকেই সেখানে দেওয়াল লিখন শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি একাধিকবার সেখানে গিয়েছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, একটা সময়ে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনকে নন্দীগ্রামে নির্বাচনে কাজে সহায়তা করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন রাজ্যসভার অপর সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।