বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তুলনা, বাম-আব্বাস জোটকে নিশানায় বিস্ফোরক তসলিমা
সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মী দুই মতাদর্শের সমঝোতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন (taslima, nasrin)। তিনি ও জোট বন্ধনের কড়া সমালোচনায়ও করেছেন। বাম ও আব্বাসদের (left and abbas) কোন কোন বিষয়ে আলাদা মত, তাও তুলে ধ
সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মী দুই মতাদর্শের সমঝোতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন (taslima, nasrin)। তিনি ও জোট বন্ধনের কড়া সমালোচনায়ও করেছেন। বাম ও আব্বাসদের (left and abbas) কোন কোন বিষয়ে আলাদা মত, তাও তুলে ধরেছেন তিনি।
বৃষ্টির সঙ্গে তুষারপাতের সম্ভাবনা! উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস একনজরে
বিপরীত ধর্মী দুই মতাদর্শের সমঝোতা
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তসলিমা বলেছেন, বামপন্থী দল যখন ইসলামপন্থী দলের সঙ্গে হাত মেলায়, তখন তাঁর বড় দুঃখ হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি বলেছেন, বামপন্থা বলে নারীর সমানাধিকার চাই, ইসলামপন্থা বলে নারীর সমানাধিকার চাই না। বামপন্থা বলে মানবাধিকার চাই, ইসলামপন্থা বলে মানবাধিকার চাই না। বামপন্থা বলে বিজ্ঞানে বিশ্বাস চাই, ইসলামপন্থা বলে বিজ্ঞানে বিশ্বাস চাই না। বামপন্থা বলে ধর্মে বিশ্বাস নেই, ইসলামপন্থা বলে নাস্তিকের ফাঁসি চাই। বামপন্থা বলে মার্ক্স লেনিন জিন্দাবাদ, ইসলামপন্থা বলে মার্ক্স লেনিন নিপাত যাক। বামপন্থা বিশ্বাস করে এভ্যুলুশানে, ইসলামপন্থা বিশ্বাস করে ক্রিয়েশানিজমে। বামপন্থা বলে ধর্ম হলো আফিম, ইসলামপন্থা বলে সবার ওপরে ইসলাম ধর্ম তাহার ওপরে নাই। বামপন্থা বলে পয়গম্বরের সমালোচনা চলবে, ইসলামপন্থা বলে পয়গম্বরের সমালোচনা করলে মুণ্ডু কেটে ফেলবো।
জন্ম নিতে পারে জিহাদির
সম্পূর্ণ বিপরীত দুই আদর্শ কী করে সহবাস করে হতে পারে তা তিনি জানেন না, মন্তব্য করেছেন তসলিমা। ওদের সহবাসের ফলে বিজ্ঞানী জন্ম নেয় না, বরং জিহাদি জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা থেকে যায় বলেও সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তুলনা
তবে তিনি অপর একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ব্রিগেডে সিপিএম-কংগ্রেসের ব্রিগেডের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, একটি দেশে অনেকগুলো রাজনৈতিক দল থাকা ভাল। পাশের দেশ বাংলাদেশে তো সরকারের দল ছাড়া আর কোনও দল নেই। বাকি সব দল হয় মৃত, নয় অর্ধমৃত, মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে তাঁকে কলকাতা থেকে তাড়ানো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পাশাপাশি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নামও তুলেছেন।
রাজনৈতিক স্বার্থ ছিল না বলে থাকতে দেওয়া হয়নি
তসলিমা বলেছেন, তিনি কলকাতাকে ভালোবেসে কলকাতায় থাকতে এসেছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থ না থাকায় রাজনৈতিক দলগুলি তাঁকে ভালোবাসতে পারেনি। এদেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পরেই তিনি এদেশেই ফিরে এসেছেন। তবে তাঁকে এদেশে থাকতে দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। ফের যদি তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তিনি ইউরোপে চলে যাবেন, এমনটাই ইঙ্গিত করেছেন তিনি। কেননা তিনি ইউরোপের নাগরিক। তবে তিনি কোথায় যাবেন, তা ভেবে রাখেননি বলে জানিয়েছেন। কেননা তিনি রাজনীতি বোঝেন না।