প্রাচীর হল রাজনীতি, দশ বছর পর ভ্যালেনটাইনস ডে-তে একসঙ্গে থাকা হল না সৌমিত্র-সুজাতার
গত দশ বছর, আজকের দিনটা তাঁদের কাছে ছিল খুবই 'স্পেশাল'। কালের গতিতে আজ অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। সুজাতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই সুখের সংসারে ফাটল ধরে। বাড়ি ছেড়েছেন। সৌমিত্রও বিচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছেন। এনেছেন একগুচ্ছ অভিযোগ।
'ধীরে ধীরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে আমাদের মধ্যে'
এদিন সৌমিত্র থেকে দূরে থেকেও তাঁর উদ্দেশে বার্তা পাঠিয়েছেন সুজাতা। তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় এক বিয়েবাড়িতে প্রথম চোখাচোখি হয়। ওঁর অবশ্য আমাকে আগে থেকেই ভালো লাগত। ধীরে ধীরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে আমাদের মধ্যে। তারপর কখনও এই দিনে আলাদা থাকিনি।'
কী বলছেন সৌমিত্র
এদিকে সৌমিত্র কখনও বলেছেন, তাঁরা দুই জন আলাদা থাকেন। তাঁদের মধ্যে কোনও আন্তরিকতা নেই। কখনও অভিযোগ, সুজাতা হাইপারটেনশনে ভোগেন এবং ঝগড়ুটে। কখনও অভিযোগ, সুজাতা নাকি সৌমিত্রকে পরিবার থেকে আলাদা হতে জোর করতেন। কখনও অভিযোগ, সুজাতা নাকি সৌমিত্রর বাবা-মা-অন্য আত্মীয়দের সঙ্গে ঝগড়া করতেন। এমন অভিযোগের তালিকা নেহাত কম নয়।
সুজাতার জন্য নিত্য-নতুন উপহার থাকত
এতগুলো বছর সকাল থেকে মনের মানুষটার বাড়ির সামনেই দেখা যেত তাঁর বাইক। সুজাতার জন্য নিত্য-নতুন উপহার থাকত। থাকত দেশি-বিদেশি চকোলেট। গোলাপও। কখনও মিলেছে গাড়ির মতো উপহারও। আজ সেই সৌমিত্র দিনটার কথা মনে করতে চান না। বলছেন, দেশের মানুষের জন্য এই দিনটা নাকি তিনি পালন করেন না। আর সুজাতার দাবি, সৌমিত্রর নামে শাখা-সিঁদুর তিনি ছাড়বেন না। সৌমিত্রর সঙ্গেই ঘর করবেন। আজও তিনি সে-সব কথা বলতে বলতে কেঁদে ওঠেন। কোথায় যেন এখনও মনের ভিতরটা সৌমিত্র-সৌমিত্র করছে।
সব কিছুর মাঝে যেন প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনীতি
সব কিছুর মাঝে যেন প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনীতি। দুই ভিন্ন মতের রাজনীতি। সৌমিত্র-সুজাতার প্রেম-কথা এক সময় বাঁকুড়ার মানুষের মুখে মুখে ফিরত। কখনও শাড়ি-কখনও চুড়িদার-কখনও আরও আধুনিক সাজে সুজাতা যখনই বাড়ি থেকে বের হতেন,পড়শিরা ফিসফিস করতে ছাড়েননি। সঙ্গে অবশ্যই পাঞ্জাবি আর জিনস পরিহিত আধুনিক কালের আর এক সৌমিত্র। তবে আজ আর সেই সব নেই।