জোটের তাল কাটল ব্রিগেডের মঞ্চেই, প্রকাশ্যে অধীর-আব্বাস স্নায়ুযুদ্ধ
বাম-কংগ্রেস-আব্বাসের (left-cong-abbas) জোট। কিন্তু সেই জোটের তাল কেটে গেল একেবারে ব্রিগেডের (brigade) মঞ্চেই। প্রকাশ্যে এসে পড়ল আইএসএফ-এর (isf) প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকির (abbas siddiqui) সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপত
বাম-কংগ্রেস-আব্বাসের (left-cong-abbas) জোট। কিন্তু সেই জোটের তাল কেটে গেল একেবারে ব্রিগেডের (brigade) মঞ্চেই। প্রকাশ্যে এসে পড়ল আইএসএফ-এর (isf) প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকির (abbas siddiqui) সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর (adhir chowdhury) স্নায়ুযুদ্ধ। ফলে অনেকেই জোটের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
মমতাকে জিরো করে দেখিয়ে দেবো, ব্রিগেডের সভায় আব্বাসের চ্যালেঞ্জ
আব্বাসের সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা এখনও বাকি
আব্বাসের সঙ্গে বামেদের সমঝোতা পাকা হয়ে গিয়েছে। বামেরা তাদের থেকে ৩০ টি আসন আব্বাসকে দেবে বলে চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে নন্দীগ্রাম এবং ভাঙড়ের মতো আসনও রয়েছে। কিন্তু আব্বাস মুর্শিদাবাদ এবং মালদহে এমন সব দাবি করেছেন, যা নিয়ে আপত্তি তুলেছে কংগ্রেস, বিশেষ করে অধীর চৌধুরী। তিনি এখনও নিজের অবস্থানে অনড়। শনিবারও তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। তবে আলোচনা চূড়ান্ত হয়নি। জানা গিয়েছে অধীর চৌধুরী বামেদের কাছে আরও ১৮ টি আসন দাবি করেছেন। এখনও পর্যন্ত বামেদের সঙ্গে জোটের নিরিখে কংগ্রেস পেয়েছে ৯২ আসন। কংগ্রেস চায় ১১০ টি আসনে লড়াই করতে। ১১০ টি আসন পেলে, তার থেকে তারা আব্বাসকে আসন ছাড়তে পারবে বলে জানিয়েছে।
জোটের তাল কাটল ব্রিগেডের মঞ্চে
এদিন জোটের তাল কাটে ব্রিগেডের মঞ্চে। যে সময় অধীর চৌধুরী ভাষণ দিচ্ছেন আব্বাস সিদ্দিকি মঞ্চে আসেন। তাঁর সমর্থকরা চিৎকার করছেন। অধীর চৌধুরী ভাষণ থামিয়ে দিতে বাধ্য হন। বাম নেতারা সূর্যকান্ত মিশ্র, মনোজ ভট্টাচার্যের মতো প্রবীন বাম নেতারা এগিয়ে গিয়ে আব্বাসকে স্বাগত জানান। এই সময় সিপিএম নেতা মহঃ সেলিমকে কিছু বলতে দেখা যায় অধীর চৌধুরীকে। যার জেরে অধীর চৌধুরী আর ভাষণ দিতে চাননি। বলেন তিনি আর বলবেন না। পরে জানা যায়, সেলিম সেই সময় আব্বাসকে পরিচয় করিয়ে দিতে বলেছিলেন অধীর চৌধুরীকে। তাতেই খেপে গিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। যদিও সঙ্গে সঙ্গে কাছে থাকা বিমান বসু অধীর চৌধুরীকে শান্ত করেন। এরপর অধীর চৌধুরী নিজের বক্তব্য রাখেন।
বাম শরিকদের জয়ী করার আহ্বান
অধীর চৌধুরীর পরেই ভাষণ দিতে ওঠেন আব্বাস সিদ্দিকি। তিনি শুরুতেই সব বাম শরিককে জয়ী করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রক্ত দিয়ে বলেও বাম শরিকদের জয়ী করতে হবে। কেননা তারা ৩০ টি আসন আইএসএফকে ছেড়ে দিয়েছেন লড়াইয়ের জন্য।
ভাগিদারি চাই
শেষের দিকে শুধু বাম শরিকদের কেন জয়ী করার আহ্বান তার ব্যাখ্যা করেন আব্বাস সিদ্দিকি। তিনি বলেন বামেদের সঙ্গে সমঝোতা হলেও, কংগ্রেসের সঙ্গে হয়নি। কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা হলে দলের সমর্থকদের তিনি কংগ্রেসের জন্য লড়াই করার কথা বলবেন। আইএসএফএ-র প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ভাগিদারী চাই, তিনি তোষণ করতে আসেননি বলেও মন্তব্য করেন। বন্ধুত্বের জন্য দরজা খোলা বলেও জানান তিনি। ফলে জোটের মঞ্চেই কংগ্রেস আর আব্বাসের স্নায়ুযুদ্ধ প্রকাশ্যে এসে পড়ল।