আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে আদৌ কি হবে জোট, বাম-কংগ্রেসের কৌশল নিয়ে জল্পনা
আব্বাস সিদ্দিকিকে (abbas siddiqui) এখনই সাম্প্রদায়িক বলতে রাজি নন বামেরা (left) । তাঁর দলের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সম্ভাবনার কথা বলা হলেও, তা শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। ওদিকে আব্বাস ৭ ফেব্রুয়ারি
আব্বাস সিদ্দিকিকে (abbas siddiqui) এখনই সাম্প্রদায়িক বলতে রাজি নন বামেরা (left) । তাঁর দলের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সম্ভাবনার কথা বলা হলেও, তা শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। ওদিকে আব্বাস ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন বাম-কংগ্রেসকে (congress) । এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে সেই সময় কেন কোনও সমঝোতা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সিঙ্গুর নিয়ে মুকুলের 'পথে'ই চলেছেন শুভেন্দু! সংশোধন করলেন বাম আমলের 'স্লোগান'
বাম-কংগ্রেসের আসন রফা
ইতিমধ্যে রাজ্যের দুই তৃতীয়াংশ আসনে আসন বাম-কংগ্রেসের মধ্যে আসনরফা চূড়া হয়ে গিয়েছেন। ২৮ জানুয়ারি সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই ঘোষণা করে দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বেশ কিছুদিন ধরেই বাম-কংগ্রেসের মধ্যে আসনরফা নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রথমে দুইপক্ষের মধ্যে ৭৭ টি আসনে রফা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৪ টি ছিল কংগ্রেসের আর বামেদের ছিল ৩৩ টি। ২৮ জানুয়ারি আরও ১১৬ টি আসনে সমঝোতার কথা ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ৪৮ টি কংগ্রেসের আর ৬৮ টি বামেদের। সব মিলিয়ে ১৯৩টির মধ্যে সমঝোতা হওয়া আসন সংখ্যা কংগ্রেসের ৮১ টি আর বামেদের ১১২টি। এই ঘোষণার পরে বিমান বসু ও অধীর চৌধুরী জানিয়েছিলেন, তাঁরা এখনও পর্যন্ত হওয়া অগ্রগতিতে খুশি।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাতেই সমঝোতা বাম-কংগ্রেসের
রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বলে পরিচিত জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া। এইসব জেলাগুলিতে নিজের ভিত শক্ত বলে দাবি করে থাকেন আব্বাস সিদ্দিকি। কিন্তু এইসব জেলাগুলির বেশিরভাগ অংশেই আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করে ফেলেছে বাম-কংগ্রেস। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, মুর্শিদাবাদের ২২ টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ও বামেরা যথাক্রমে ১৪ টি ও ৪ টি আসনে প্রার্থী দেবে বলে ঠিক করে ফেলেছে। বাকি ৪ টি আসনে সমঝোতা চূড়ান্ত হওয়ার পথে। অন্যদিকে মালদহ জেলায় ১২ টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস আটটি এবং বামেরা ৩ টি আসনে প্রার্থী দেবে বলে ঠিক করে ফেলেছে। এই জেলায় সমঝোতার তালিকায় আসতে এখনও বাকি রয়েছে ইংরেজবাজার। আর সবমিলিয়ে এখনও ১০১ টি আসনে সমঝোতার ঘোষণা বাকি রয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে আদৌ কি আব্বাস সিদ্দিকির দলের সঙ্গে সমঝোতা হবে বাম-কংগ্রেসের তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় আব্বাসের
২১ জানুয়ারি কলকাতায় নিজের দলের কথা ঘোষণা করেছেন আব্বাস সিদ্দিকি। দলের প্রধান করেছেন নিজের ভাই নৌসাদ সিদ্দিকিকে। দল ঘোষণার আগে থেকেই বাম-কংগ্রেসের তরফে আব্বাসের সঙ্গে সমঝোতার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দল ঘোষণার পরে এতদিন কেটে গেলেও অস্থির হয়ে পড়ছেন আব্বাস সিদ্দিকি। যেই কারণে বাম-কংগ্রেসকে জোট ঘোষণা করতে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি।
নিজের মতোই চলতে পারেন আব্বাস
একদিকে যখন আব্বাস সিদ্দিকি ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন বাম-কংগ্রেসকে, সেই দিনই আসনরফা নিতে বৈঠকে বসতে চলেছে বাম-কংগ্রেস। ফলে সেই দিনই দুপক্ষেরই অবস্থান চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। এক্ষেত্রে আব্বাস সিদ্দিকি নিজের পথেই চলতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে দেখা যেতে ওয়েইসির মিমকে। যেকারণে বছরের শুরুতেই ফুরফুরা শরিফে এসেছিলেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।