কোন ছকে বিজেপির গেরুয়া ঝড় প্রতিহত করবে তৃণমূল? অঙ্ক কষছেন প্রশান্ত কিশোর
আর মাত্র দুই মাস বাকি, এরপরই বাংলায় রাজনৈতির মহারণ। ২০২১ সালের এই নির্বাচন ঘিরে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছিল সেই ২০১৯ সাল থেকেই। ২০১৯ সালে রাজ্যে বিজেপির চ্যালেঞ্জ এতটাই বড় হয়ে দেখা দেয়, যে সেই চ্যালেঞ্জ সামলাতে বঙ্গভূমিতে আনা হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরকে। এবং মমতার সিংহাসন অক্ষত রাখতে অঙ্ক কষছেন প্রশান্ত কিশোর।

তৃণমূলের 'স্বচ্ছ রাজনীতি'
বিজেপির বিরুদ্ধে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী দাঁড়ালে জিততে পারেন, কোন প্রার্থীর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, কোন ছকে বিজেপির বিরুদ্ধে ইস্যু খাড়া করতে হবে, এই সব কিছুই এক একটি আসন ধরে ঠিক করছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। আই-প্যাকের কথাতে 'স্বচ্ছ রাজনীতি' করতে না চেয়ে ইতিমধ্যে দল ছেড়েছেন বহু বিধায়ক। তবে তাতেও প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার উপরই ভরসা রাখছেন মমতা-অভিষেকরা।

তৃতীয়বারের জন্যে কি মমতা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন?
তৃতীয়বারের জন্যে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন? রাজ্য রাজনীতিতে এখন এই প্রশ্নের ছড়াছড়ি। আর এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতেই দিনরাত কাজ করে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর দল। এবং এই 'জবাব' যাতে মমতার পক্ষে হয়, তাঁর জন্যেও একে একে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর। দলত্যাগীরা যতই পিকের বিরুদ্ধে সুর চড়াক, দল যে প্রশান্তের উপর ভরসা বজায় রেখেছে, তা বলাই বাহুল্য।

আই-প্যাক-এর কজ কী?
আই-প্যাক-এর মূল কাজ হল তৃণমূলের বার্তা আরও ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের মনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে থাকা কোনও সম্ভাব্য 'ক্ষোভ'-কে কমিয়ে দেওয়া। পাশাপাশি উচ্চ স্তরের নেতাদের বার্তাও যাতে নিচু স্তরের কাছে পৌঁছায়, এবং দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব যাতে ঠেকানো যায়, তার দায়িত্বও কিন্তু প্রশান্ত কিশোরের উপর।

প্রশান্তের দল এসে কি সত্যি তৃণমূলে আরও বড় ভাঙন ধরিয়েছে?
এই ক্ষেত্রে অনেকেই বলতে পারেন যে, প্রশান্তের দল এসে তো তৃণমূলে আরও বড় ভাঙন ধরিয়েছে। কিন্তু সত্যিটা হল, যাঁরা ছেড়েছেন, তাঁরা প্রশান্ত কিশোর না থাকলেও হয়ত ছেড়ে যেতেন। তখন হয়ত 'অজুহাত'টা অন্য কিছু হত। এদিকে অনেক ক্ষেত্রেই তৃণমূলের ক্ষত যাতে খুব ছড়িয়ে না পড়ে, সেই লক্ষ্যে মলমের কাজ করেছেন প্রশান্ত কিশোর। যেমন, সূত্রের খবর, শুভেন্দুর ইচ্ছে ছিল যে তিনি ৩৫ জন বিধায়ক নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন। তবে শুভেন্দুর সেই 'প্ল্যান' সফল হতে দেননি প্রশান্ত কিশোর।

আইটি সেলকে প্রতিহত করা
এদিকে বিজেপির আইটি সেলের অ্যাড-বর্ষণকে প্রতিহত করার ক্ষেত্রেও আই-প্যাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিজেপি তাদের আইটি সেলের মাধ্যমে যেভাবে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ রাজ করতে চাইছে, সেই প্রচেষ্টাকে অনেকটাই চ্যালেঞ্জ করতে সমর্থ হয়েছে টিম পিকে।