বিদ্রোহীদের মানভঞ্জনে টিম পিকে, তৃণমূলের চিড় ধরা সংগঠন জুড়বে প্রশান্ত ম্যাজিকে?
বিধানসভা নির্বাচনের আগে অন্তর্দ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তেই প্রায় একই চিত্র দলের অন্দরে। বর্ধমানের চিত্রটাও এর থেকে কোনও অংশে আলাদা নয়। এবার সেই বিভেদ এবং অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে ময়দানে নেমেছে টিম পিকে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে এবং পুরোবো নিষ্ক্রিয় কর্মীদের ফের সক্রিয় করতে উদ্যোগী হয়েছে দল।
বিভেদ মেটাতে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন দলের উচ্চ স্তরের নেতারা
জানা গিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার পাশাপাশি দলের বিভেদ মেটাতে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন দলের উচ্চ স্তরের নেতারাও। পৌরসভা, ব্লক, পঞ্চায়েত স্তরে কলহ মেটানোর কাজের দায়িত্বে রয়েছে আইপ্যাক। মূলত নিচু তলার কর্মীদের দলে রেখে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই তৎপরতা।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বর্ধমান শহরের কমিটি গড়ার দাবি
জেলা স্তরের নেতৃত্ব সূত্রে জানা দিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বর্ধমান শহরের কমিটি গড়ার দাবি জানিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছিলেন সভাপতি অরূপ দাস। তিনি জানিয়েছিলেন, শহরে দলের পরিস্থিতি শোচনীয়। দলের অন্দরে ক্রমেই বাড়ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। জেলা নেতৃত্বও কার্যত তা মেটাতে সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েই সমস্যা মেটাতে ময়দানে নেমেছে।
প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে আলোচনা সব পক্ষের
জানা গিয়েছে, অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে রাজ্যের দুই শীর্ষ স্থানীয় নেতা বিরোধী গোষ্ঠী এক নেতার সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর মানভঞ্জনের চেষ্টাও হয়। এরপর কয়েকদিন আগে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কথা বলতে কলকাতায় আসেন অরূপ দাস, জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার ও বিরোধী শিবিরের খোকন দাস। এছাড়া সম্প্রতি বর্ধমান শহরেও একটি সাংগঠনিক বৈঠক হয়।
নিষ্ক্রিয়দেরও জেলা-ব্লক কমিটিতে নেওয়া হচ্ছে
বর্ধমান উত্তর বিধানসভা নিয়েও একাধিক বৈঠক হয়েছে সাম্প্রতিক কালে। সূত্রের খবর, বর্ধমান ১ ও ২ ব্লকে অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত দল। পরে সমস্যা মেটাতে বিধায়ককে নিয়ে রাজ্য নেতৃত্ব বৈঠক করে। জামালপুর, খণ্ডঘোষ, রায়না, মেমারি, পূর্বস্থলী, কালনা, গলসিতে দলের অঞ্চল নেতাদের সঙ্গে কথা বলছে টিম পিকে। এদিকে নিষ্ক্রিয়দেরও জেলা-ব্লক কমিটিতে নেওয়া হচ্ছে।
ধাপে ধাপে প্রতিটি স্তরের ঝামেলা মেটানোর চেষ্টা
জানা গিয়েছে, দলের অন্দরের সব সমস্যা মেটাতে প্রশান্ত কিশোরের দল তৃণমূলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর লোকেদের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলছে। সেই আলোচনার পর রিপোর্ট যাচ্ছে প্রশান্ত কিশোর দফতরে। এরপর নির্দেশ এলে, দুই গোষ্ঠীকে নিয়ে একসঙঅগে আলোচনায় বসা হচ্ছে। তাতেও সমস্যা না মিটলে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। আপাতত এভাবেই ধাপে ধাপে প্রতিটি স্তরের ঝামেলা মেটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে টিম পিকে।
অমিত শাহের সামনে ব্যাকফুটে মমতার প্রশাসন, কোন সমীকরণে 'পরিবর্তন' আসবে উত্তরবঙ্গে