অধিকারী গড়ে কি ফের পদ্ম ফুটছে, শিশিরকে নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যে জল্পনা
তাঁর মন একদিকে পড়ে রয়েছে আর দেহ একদিকে। এদিন দলের সাংসদ শিশির অধিকারী (sisir adhikari) সম্পর্কে এমনটাই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল (trinamool congress) মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (partha chatterjee)। শিশির অধিকারীর অবস্থা
তাঁর মন একদিকে পড়ে রয়েছে আর দেহ একদিকে। এদিন দলের সাংসদ শিশির অধিকারী (sisir adhikari) সম্পর্কে এমনটাই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল (trinamool congress) মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (partha chatterjee)। শিশির অধিকারীর অবস্থান সম্পর্কে কটাক্ষ করতে গিয়ে পার্থ বলেছেন, অন্য দিকে যাওয়ার জন্য দু-পা তিনি বাড়িয়ে রেখেছেন।
বিস্ফোরক শিশির অধিকারী
এদিন শিশির অধিকারী অভিযোগ করেন নিকৃষ্টতম আক্রমণ নেমে এসেছে তাঁদের পরিবারের ওপরে। যা কংগ্রেস ও সিপিএম-এর আমলে হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করে শিশির অধিকারী বলেছেন, নন্দীগ্রামে মমতার পক্ষে প্রচার শুরুর পরে যদি তাঁর ছেলেকে আক্রমণ করা হয়, তাহলে তিনিও ছেড়ে কথা বলবেন না। তাঁর বাড়ির চারদিকে নজরদারি বসানোর অভিযোগও এদিন করেছেন শিশির অধিকারী।
দুই 'অধিকারী'র অবস্থানে সন্দেহ
একটা সময়ে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেস বলতে অধিকারী পরিবারকেই বোঝানো হত তৃণমূলের অন্দরমহলে। সেই দিন গিয়েছে। বাড়ির মেজো ছেলে প্রথমে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তারপর অপর ছেলে সৌমেন্দু অধিকারী। কিন্তু এখনও বাকি রয়ে গিয়েছেন কাঁথি ও তমলুকের দুই সাংসদ শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী। তাঁর সরকারি ভাবে কোনও মত না জানালেও তৃণমূল ধরেই নিয়েছে তাঁরাও বিজেপির পথেই।
শিশির অধিকারীকে নিশানা পার্থর
এদিন শিশির অধিকারীর মন্তব্যের পরেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, শিশির অধিকারীর মন টা কোথায় আর দেহটা কোথায়। তিনি যে অন্যদিকে যাওয়ার জন্য দুপা বাড়িয়ে রয়েছেন, তা তাঁর কথায় প্রমাণিত, বলেছেন পার্থ। যেহেতু এই মন্তব্য শিশির অধিকারীকে নিয়ে, তাই এই মত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দলে আছেন কিনা জানে না তৃণমূল
এদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, সংবাদ মাধ্যমে শিশির অধিকারী সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, তিনি দলে আছেন কিনা তা জানে না তৃণমূল। প্রসঙ্গত শিশির অধিকারীকে পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হলেও, চেয়ারম্যানের পদে এখনও বহাল রয়েছে। অন্যদিকে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, সাংসদ পদে থাকলেও হাসপাতাল, কলেজ পরিচাল সমিতির পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।