নৈহাটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে চার্জশিট দাখিল করল এনআইএ
নৈহাটিতে (naihati) ভয়াবহ বিস্ফোরণ (explosion) কাণ্ডে চার্জশিট দাখিল করল এনআইএ। বছরখানেকের বেশি সময় আগে সেখানকার একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণে ৫ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সেই বিস্ফোরণের তদন্তভার
নৈহাটিতে (naihati) ভয়াবহ বিস্ফোরণ (explosion) কাণ্ডে চার্জশিট দাখিল করল এনআইএ। বছরখানেকের বেশি সময় আগে সেখানকার একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণে ৫ জনের মৃত্যু হয়। সেই বিস্ফোরণের তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল এনআইএ-র (nia) হাতে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এনআইএ-র বিশেষ আদালতে সেই তদন্তের চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
৩ জানুয়ারি, ২০২০-তে ভয়াবহ বিস্ফোরণ
৩ জানুয়ারি, ২০২০-তে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছিল নৈহাটির দেবকে। দিনের আলোয় হওয়া বিস্ফোরণ কেঁপে উঠেছিল গঙ্গার এপার ওপার। বাজি কারখানায় হওয়া বিস্ফোরণ ছাপিয়ে যায় ভূমিকম্পকেও। প্রায় ৮ কিমি পর্যন্ত এলাকার বাড়ি ঘর কেঁপে ওঠেছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুনও ধরে যায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় নৈহাটি থানার পুলিশ এবং দমকল। এই ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয় এবং ১০ জন আহত হন। বিস্ফোরণের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মালিক নূর হোসেনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
নৈহাটির বিস্ফোরণকে খাগড়াগড়ের সঙ্গে তুলনা
বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু নৈহাটির বিস্ফোরণকে খাগড়াগড়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, নৈহাটি বিস্ফোরণের পিছনেও জামাত যোগ রয়েছে। নৈহাটি বিস্ফোরণে প্রথম এনআইএ তদন্ত দাবি করেছিলেন স্থানীয় সাংসদ অর্জুন সিং। বিজেপির কথা অনুযায়ী, প্রথমে পুলিশ বলেছিল গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, কিন্তু পরে এনআইএ বলে জামাতের পাশাপাশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের হাত রয়েছে। সায়ন্তন বসুও নৈহাটি বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্ত দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন বেআইনি বাজি কারখানা বলা হলেও, সেখানে প্রচুর বিস্ফোরক মজুত ছিল। পুলিশ ফরেনসিক পরীক্ষার নামে তথ্য লোপাটের চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। রাজ্যে বোমা শিল্পই উন্নতি হয়েছে, কটাক্ষ করেছিলেন মুকুল রায়।
নৈহাটি বিস্ফোরণ নিয়ে রাজ্যপাল
নৈহাটি বিস্ফোরণের তদন্ত কোনও বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে করাতে দাবি তুলেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, মসজিদ পাড়ায় বাজির কারখানায় বিস্ফোরণ, এত মানুষের মৃত্যু তাঁকে বেদনাহত করেছে। তিনি আরও বলেছিলেন, অভিযোগ উঠেছে ওই কারখানায় দেশি বোমা তৈরি হচ্ছিল। বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনি প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করেছিলেন।
বোমার মশলা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়েও বিপত্তি
বেআইনি বাজি কারখানার মশলা নষ্ট করতে গিয়েও বিপত্তি দেখা দেয়। বিস্ফোরণে ১০ ফুট গভীর এবং ৮ ফুট চওড়া গর্ত হয়ে যায়। একাধিক বাড়ির জানলার কাঁচ ভেঙে যায়। বাড়ির অ্যাসবেস্টসের ছাদও উড়ে যায়। জনরোষের মুখে পড়ে পুলিশ। হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় নৈহাটি গিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবি করেন। পরে এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এবার সেই মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে এনআইএ।
তৃণমূল সরকার 'সাম্প্রদায়িক', প্রশাসন হাতের পুতুল, বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী