মোদীর মুখে বাংলার মেয়েদের কথা, তৃণমূলের স্লোগানকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর
মোদীর মুখে বাংলার মেয়েদের কথা, তৃণমূলের স্লোগানকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) সরকারকে আক্রমণ করার পাশাপাশি, এবার তৃণমূলের (trinamool congress) স্লোগানকেও কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi)। এদিন তিনি প্রশ্ন করেছেন, বাংলার মেয়েদের কি পরিশ্রুত পানীয় জল পাওয়ার কোনও অধিকার নেই।
বাংলা নিজের মেয়েকে চায়
দিন দুয়েক আগে নতুন এই স্লোগান নিয়ে মাঠে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুরুতে মা-মাটি-মানুষ স্লোগানের পরে দিদিকে বলুন কর্মসূচি এনেছিল তৃণমূল। পরে এসেছিল বাংলার গর্ব মমতা। এবার তাদের ভরসা বাংলা নিজের মেয়েকে চায়। শনিবার তৃণমূল ভবনে এই স্লোগানের প্রকাশ্যে আনে তৃণমূল কংগ্রেস। এই স্লোগানের মাধ্যমে যেমন বহিরাগত তত্ত্বে জোর দেওয়া হয়েছে, ঠিক তেমনই ঘরের মেয়ে মমতার কোনও বিকল্প নেই, সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে গত এক দশকে বাংলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিতে উন্নয়নের জোয়ার এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বাংলার মাটির কথা বোঝেন। তাই বাংলা নিজের মেয়েকে আবারও চায়।
মোদীর মুখে বাংলার মেয়ে
এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখে উঠে এসেছে বাংলার মেয়েদের কথা। সেখানে কোথাও তিনি তৃণমূলের স্লোগানের কথা উল্লেখ করেননি। তবে দাবি করলেন বাংলার মেয়েরা দুর্দশায় রয়েছে। তিনি বলেছেন, বাংলার ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য জল জীবন মিশন প্রকল্প চালু হয়েছে। বাংলার জন্য এই প্রকল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন দেড় পৌনে দু কোটি পরিবারের মধ্যে মাত্র দুলক্ষ ঘরে নল থেকে জলের সুবিধা রয়েছে। এই প্রকল্পে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ঘরে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র সরকার চাপ দেওয়ার পরে মাত্র ৯ লক্ষ ঘরে এই সুবিধা হয়েছে। এর থেকেই স্পষ্ট তৃণমূল সরকার কতটা উদাসীন।
বাংলার মেয়েদের শুদ্ধ জল পাওয়ার অধিকার নেই?
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের শুদ্ধ পানীয় জল পাওয়ার অধিকার আছে কি নেই? কিন্তু সব ঘরে জল পৌঁছানোর জন্য ১৭০০ কোটি টাকার বেশি টাকা তৃণমূল সরকারকে দিয়েছে। ৬০৯ কোটি টাকা মাত্র তৃণমূল খরচ করেছে। বাকি টাকা কারচুপি করেছে। এটাই প্রমান করে তৃণমূল সরকার পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের জন্য সহানুভূতি নেই। যদিও তৃণমূলের তরফে প্রধানমন্ত্রীর এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আওয়াজ উঠেছে আর নয় অন্যায়
প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন বলেছেন, এসবের বদল ঘটানোর জন্য সব জায়গায় আওয়াজ উঠেছে আর নয় অন্যায়। তিনি বলেন আসল পরিবর্তন চাই। তিনি অভিযোগ করেছেন, হুগলি আলুচাষী আর কৃষকদের লুটছে তৃণমূল কংগ্রেস। যতদিন রাজ্যে সিন্ডিকেট, তোলাবাজি, কাটমানি চলতে থাকবে, ততদিন এখানে কোনও উন্নয়ন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
মুকুল-শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মমতার লড়াইয়ে নেপথ্য-ভূমিকায় পিকে, একুশের লড়াই নয়া কৌশলে