অমিত শাহের নির্দেশে মাঠে নামছেন মুকুল, কেন্দ্র নিয়ে জল্পনা
দিল্লি যাওয়ার সময়েই মুকুল রায় (mukul roy) বলেছিলেন তিনি নির্বাচনে লড়াই করতে চান না। সঙ্গে বলেছিলেন বিজেপির (bjp) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কী চাইছে তাও দেখতে হবে। শেষ পর্যন্ত জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিশেষ করে অমিত
দিল্লি যাওয়ার সময়েই মুকুল রায় (mukul roy) বলেছিলেন তিনি নির্বাচনে লড়াই করতে চান না। সঙ্গে বলেছিলেন বিজেপির (bjp) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কী চাইছে তাও দেখতে হবে। শেষ পর্যন্ত জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিশেষ করে অমিত শাহের (amit shah) ইচ্ছায় প্রার্থী হতে রাজি হয়েছেন মুকুল রায়। তবে তাঁর কেন্দ্র নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
নির্বাচনী ময়দানে ২০ বছর পরে
প্রায় দুই যুগ রাজ্যের মানুষ মুকুল রায়কে পর্দার আড়াল থেকে কাজ করতে দেখেছে। তা সে ২০১১-তে পরিবর্তনের বছরেই হোক কিংবা ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ২ থেকে ১৮-তে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে। নির্বাচনী আইন তাঁর গুলে খাওয়া। নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে গেলেই ডাক পড়ে তাঁর। তা সে তৃণমূলের সময়েও ছিল, আর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেও। ২০০১ সালে মুকুল রায় শেষবার জনতার রায় নিয়েছিলেন। তৃণমূলের টিকিটে জগদ্দল আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বামপ্রার্থীর কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন। তারপর থেকে তিনি আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। ২০০৬ সাল থেকে পরপর দুবার তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় গিয়েছেন।
কৃষ্ণনগর থেকে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা
এবারের নির্বাচনে মুকুল রায় কৃষ্ণনগর থেকে প্রার্থী হতে পারেন। সেখানে দুটি আসন রয়েছে, কৃষ্ণনগর উত্তর এবং কৃষ্ণনগর দক্ষিণ। প্রথমে শোনা গিয়েছিল কৃষ্ণনগর দক্ষিণ থেকে প্রার্থী হতে পারেন মুকুল রায়। কিন্তু সব শেষে সূত্র মারফত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মুকুল রায়ের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে। এই আসন থেকে তৃণমূলের প্রার্থী রয়েছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়।
কৃ্ষ্ণনগর উত্তর বনাম কৃষ্ণনগর দক্ষিণ
একটা সময়ে কৃষ্ণনগরের দুটি আসনে বামেদের প্রাধান্য থাকলেও, ২০১১ থেকে তা চলে গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। ২০১১ এবং ২০১৬ পরপর দুটি নির্বাচনে এই দুই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে দুই প্রার্থী অবনীমোহন জোয়ারদার এবং উজ্জ্বল বিশ্বাস জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর সংসদীয় কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র জয়ী হলেও, কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রায় ৫৩ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল। কৃষ্ণনগর দক্ষিণ থেকে বিজেপি এগিয়ে ছিল প্রায় ৬ হাজার ভোটে। তুলনামূলকভাবে কৃষ্ণনগর উত্তরে বিজেপি শক্তিশালী।
প্রার্থী করে পুরো নদিয়ার দায়িত্ব
মুকুল রায়ে হাতের তালুতে যেসব জেলাকে চেনেন তার মধ্যে রয়েছে নদিয়া। ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এই জেলায় তৃণমূলের অবস্থা মোটেও ভাল ছিল না। কিন্তু ফল বেরনোর পর দেখা যায় তৃণমূল জয় পেয়েছে জেলা পরিষদে। ওই জয়ের পিছনে ছিলেন মুকুল রায়ই। এখন বিজেপিতে থাকলেও, জেলার অনেক তৃণমূল নেতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। ফলে এই জেলা থেকে প্রার্থী করে জেলার পুরো দায়িত্ব অমিত শাহরা মুকুল রায়ের হাতেই তুলে দিতে চলেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
মমতা দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে বিকাশ হবে, পুরুলিয়া থেকে রাম-সীতার শরণে মোদী