ভোটের মুখে অভিষেকের বিরুদ্ধে নয়া হাতিয়ার বিজেপির হাতে, তুলে দিলেন স্বয়ং মমতা!
সকাল থেকেই আন্দাজ করা যাচ্ছিল তোলপাড় হতে চলেছে রাজ্য় রাজনীতি। জল গড়াল সেই দিকেই। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বোঝাপড়া। একদিকে সারদা কেসে রাজীব কুমারকে নিয়ে শীর্ষ আদালতে শুনানি আর রাকেশ সিংকে লালবাজারে তলব, অন্য়দিকে অভিষেকের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ। রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছায় সিবিআই। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে হয় জিজ্ঞাসাবাদ।


অভিষেকের বাড়িতে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা
সকাল ১১টার কিছু পরেই অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বাড়িতে পৌঁছান মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। প্রায় ৯ মিনিট সেখানে থাকেন। তারপর বেরিয়ে যান। বাড়ির বাইরে পর্যন্ত অভিষেকের মেয়ের হাত ধরে আসেন তিনি। কিন্তু, কেন অভিষেকের বাড়িতে মমতা? মুখ খোলেনি কেউ। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, পাশে থাকার বার্তা দিতেই সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেসময় বাড়িতে অভিষেক ছিলেন কি না তা জানা যায়নি। তবে বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে হয়ত এটাই চাইছিল। মমতার এই ছবি আদতে বিজেপির পরিবারতন্ত্রের অভিষোগকে আরও পোক্ত করে দিল।

মমতা বেরোনোর ৩ মিনিট পরে সেখানে যান সিবিআই আধিকারিকরা
অন্য়দিকে, মমতা বেরিয়ে যাওয়ার ৩ মিনিট পরেই সেখানে যান সিবিআই আধিকারিকরা। দুই মহিলাসহ আট আধিকারিক সেখানে গিয়েছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে যান আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের দেওয়া জবাবের পর্যালোচনা করার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

'শান্তিনিকেতন' থেকে বেরিয়ে কী বললেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা
'শান্তিনিকেতন' থেকে বেরিয়ে মুখ খোলেননি সিবিআইয়ের কোনও আধিকারিক। তবে, বেশ কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে, আট পাতার যে প্রশ্নাবলী তৈরি করা হয়েছিল তার মধ্য়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন রুজিরা। "জানি না" বলেই উত্তর সেরেছেন তিনি। একইভাবে সিবিআই আধিকারিকরা সমান্তরালভাবে যোগাযোগ রাখছিলেন নিজাম প্য়ালেসের সঙ্গে। রুজিরার দেওয়া প্রতিটি প্রশ্নের জবাব নিজাম প্য়ালেসে জানানো হয়। বেশ কয়েকটি প্রশ্নের সদুত্তর না পাওয়ার পর নিজাম প্য়ালেস থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসা আধিকারিকদের "শান্তিনিকেতন" থেকে যেতে বলা হয়। তারপরেই বেরিয়ে যান আধিকারিকরা।

বিদেশি ব্যাঙ্কের বিভিন্ন তথ্য জানতে চাওয়া হয়
মুখ খোলেননি আধিকারিকরা। এমনকী এখনও পর্যন্ত নতুন কোনও নোটিসও জারি করেননি আধিকারিকরা। তবে সূত্রের খবর, আজ দুপুরে বৈঠকে বসবেন সিবিআই আধিকারিকরা। তারপরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রুজিরার পাশাপাশি তাঁর বোন মেনকা গম্ভীরকেও নোটিস দিয়েছিল এজেন্সি। গতকাল পঞ্চসায়রে সেই বহুতল ফ্ল্য়াটে পৌঁছান তদন্তকারী অফিসাররা। বেশ কিছুক্ষণ পর বাইরে গাড়ি রেখে হেঁটে ভিতরে ঢোকেন আধিকারিকরা। সেখানে মেনকার কাছে দেশি বিদেশি ব্য়াঙ্কের বিভিন্ন তথ্য় জানতে চাওয়া হয়।