বামের থেকে বামপন্থী মমতা? বিজেপির 'লাল ভোট' ছিনিয়ে নিতে ছক তৃণমূল কংগ্রেসের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি এবার তাঁর 'ডুবন্ত নৌকা' বাঁচাতে বামেদের দিকে ঝুঁকছেন? ভোট যত এগিয়ে আসছে, মমতার ভোট-পাটিগণিতের সমীকরণ যেন ততই পরিবর্তন হচ্ছে। যে বামেদের সম্পর্কে একদা তাঁর আক্রমণের ঝাঁজ ছিল অতি তীব্র, তাদের প্রতিই কেমন যেন নরম মনে হচ্ছে নেত্রীকে।
বামেদের প্রতি মমতার নরম মনোভাব
উত্তরবঙ্গের ফালাকাটায় সম্প্রতি এক জনসভায় বক্তব্য পেশ করছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানে বামেদের প্রতি তাঁর নরম মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায়। জনসভায় তিনি বলেছিলেন, বাম-কংগ্রেস জোট কিছুটা ভোট পাবে। আর বাকি অংশ আসবে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘরে। তাঁর আরও দাবি ছিল, 'বিজেপিকে একটিও ভোট নয়।'
এককালে লাল-গেরুয়াকে একই আসনে বসাতেন মমতা
ইনি সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে জিতে দ্বিতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও লাল-গেরুয়াকে একই আসনে বসাতেন। বার বার অভিযোগ তুলতেন বাম-রামের মধ্যে আঁতাতের। এখন সে সবই অতীত। পরিবর্তন এসেছে তৃণমূল নেত্রীর মধ্যেও। শুধু উত্তরবঙ্গেই নয়। কয়েক দিন আগে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে বাম এবং ত্রিপুরা প্রসঙ্গ তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মমতার হাতিয়ার ত্রিপুরার উদাহরণ
তপশিলি জাতি-উপজাতিদের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মমতার গলায় শোনা গিয়েছিল, 'ত্রিপুরার বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর দিন। মানিকবাবুর চলে যাওয়ার পর ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। রাজ্যটার কী অবস্থা তাঁরা করেছেন একটিবার দেখুন।' দক্ষিণ কলকাতার কসবা এলাকায় গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামে সে-দিন তৃণমূল নেত্রীর গলায় মানিকবাবুর প্রসঙ্গ কেমন যেন নতুন সমীকরণের দিকে ইঙ্গিত করছিল। প্রসঙ্গত, মনে রাখতে হবে, মমতার এই মানিকবাবু কিন্তু আর কেউ নন, তিনি সিপিএম-এর পলিটব্যুরো সদস্য, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
'আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বিজেপি'
মমতা বলেন, 'ত্রিপুরায় অনেক কংগ্রেস নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই ঘটনা আমাকে খুবই ব্যথিত করেছিল। এখন বাংলার মাটিতে সেই একই কাজ করছে বিজেপি। এটা হল সর্বনাশের রাজনীতি। তারা (বিজেপি) রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চায়। যাঁরা আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তাঁদের নিজেদের দলে নিয়ে এই কাজটা করে চলেছে বিজেপি।'
ফিরছে 'নস্টালজিয়া', বঙ্গে বাজিমাত করতে বিজেপির ভরসা সোভিয়েত জমানার বমপন্থা!