ভোটের পরে সুপ্রিম কোর্টে যাব, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
নিরপেক্ষ নির্বাচনের (free and fair election) দাবিতে ভোটের পর সুপ্রিম কোর্টে (supreme court) যান। এদিন বোলপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। এ দিন মমতা
নিরপেক্ষ নির্বাচনের (free and fair election) দাবিতে ভোটের পর সুপ্রিম কোর্টে (supreme court) যান। এদিন বোলপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ মূলত নির্বাচন কমিশন (election commission) নিযুক্ত তিন পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে।
তিন পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাবতীয় অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিবেক দুবে-সহ তিন পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে। তাঁরাই কার্যত বিজেপি নেতাদের মতো কাজ করছেন। আর কমিশন চলছে বিজেপি নেতাদের কথায়। এদিন ফের একবার সেই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, কত শোকজ করবে তাঁকে।
থানা ঘেরাওয়ের নির্দেশ
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বেশ কিছু কাগজ তুলে ধরেন, পরে এক সাংবাদিককে ডেকেও দেখান সেইসব কাগজের একটি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি অনুযায়ী, সেগুলি হল তিন পর্যবেক্ষকের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকা প্রশাসনিক আধিকারিকদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী, সেইসব চ্যাটে জেলার তৃণমূল নেতাদের ভোটের আগে গ্রেফতারের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, পর্যবেক্ষকরা তৃণমূলের কর্মীদের তৃণমূলের গুণ্ডা বলে উল্লেখ করেছেন, তাঁদের চ্যাটে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি কোনও নেতাকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে থানা ঘেরাও করুন। প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। নেতাদের আটক করলে পাল্টা এফআইআর করারও নির্দেশ এদিন তিনি দিয়েছেন। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে গিয়েও দলের সমর্থক মহিলাদের কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাওয় করতে বলেছিলেন। শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালনার পরে যা নিয়ে বিজেপি নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
অযৌক্তিক আব্দার মানব না
মুখ্যমন্ত্রী
এদিন
অভিযোগ
করেছেন,
নির্বাচন
কমিশনের
জুনিয়র
অফিসাররা
রাজ্য
সরকারের
সিনিয়ার
অফিসারদের
শোকজের
চিঠি
ধরাচ্ছেন।
তিনি
বলেন,
নির্বাচন
কমিশনকে
অনেক
সম্মান
দেওয়া
হয়েছে।
এবার
নির্বাচন
কমিশনের
অযৌক্তিক
আব্দার
আর
মানা
হবে
না।
মুখ্যমন্ত্রী
এদিন
বলেন,
কোচবিহারের
শীতলকুচির
ঘটনার
তদন্ত
যেমন
করা
হবে,
ঠিক
তেমনই
কেন্দ্রীয়
বাহিনীর
গুলি
চালনার
পরে
কীভাবে
এসপিকে
নির্দেশ
দেওয়া
হয়েছিল
সেইসব
খবরও
তিনি
পেয়েছেন,
তারও
তদন্ত
করা
হবে।
মুখ্যমন্ত্রী
বলেন,
প্রতিবারই
নির্বাচন
কমিশন
নির্বাচনের
সময়
অনুব্রত
মণ্ডলকে
নজরবন্দি
করে।
কিন্তু
কাউকে
নজরবন্দি
করা
যায়
না
বলেও
দাবি
করেন
মুখ্যমন্ত্রী।
সুপ্রিম কোর্টে যাবেন
নির্বাচন প্রক্রিয়াকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করার নামে কমিশন বিজেপিকে সাহায্য করছে। তাই নির্বাচন মিটেগেলেই তিনি নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করার দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন। সেখানেই এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের একপেশো মনোভাবের কথা তুলে ধরা হবে।
আরও তীব্র হবে গরম, চোখা রাঙাচ্ছে ঘূর্ণাবর্তও, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস একনজরে