নন্দীগ্রামে পায়ে চোট পেয়ে কলকাতায় ফিরছেন মমতা, চক্রান্তের অভিযোগ
নন্দীগ্রামে (nandigram) গিয়ে পায়ে চোট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee)। তিনি কলকাতায় ফিরে আসছেন বলে জানা গিয়েছে। এব্যাপারে তিনি চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তিনি নির্বাচন কমিশনে জানাবেন বলে জান
নন্দীগ্রামে (nandigram) গিয়ে পায়ে চোট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee)। তিনি কলকাতায় ফিরে আসছেন বলে জানা গিয়েছে। এব্যাপারে তিনি চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তিনি নির্বাচন কমিশনে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁকে চার-পাঁচজন মিলে ধাক্কা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবীন মুখেই কামব্যাকের আশায় বামেরা, ২১-এর প্রার্থী তালিকায় চমক
বিরুলিয়ায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামেই থাকার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী তিনি সন্ধেয় জনসংযোগ করছিলেন। বিরুলিয়া মোড়ে তিনি গাড়ির ভিতরে বসেই কথা বলছিলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। তবে একটা পা ছিল গাড়ির বাইরে। সেই সময় কেউ ভিড়ের চাপ গিয়ে পড়ে গাড়ির দরজার ওপরে। এবং সেই দরজা চলে যায় মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের ওপরে।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ
সাধারণভাবে মুখ্যমন্ত্রী গাড়ির একেবারে সামনের সিটে বসেন। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ চার-পাঁচজন দরজা বন্ধ করার চেষ্টা করে। যা তাঁর বা-পায়ে গিয়ে লাগে। পা ফুলে যায়। কাতরাতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, চক্রান্ত করেই করা হয়েছে। জেনে বুঝেই ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলে নিয়ে গাড়ির মধ্যের আসনে নিয়ে যাওয়া হয়। এক মহিলা পুলিশ আধিকারিকের কোলে মাথা দিয়ে ফিরছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন। তৃণমূলের তরফেও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
চিকিৎসার ব্যবস্থা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থতা বোধ করতেই তাঁর জন্য চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়। পায়ে বরফ দেওয়া হয়। ব্যথার ওষুধও দেওয়া হয়। নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খবর দেওয়া হয় বিএমওএইচকে। কিন্তু তিনি আসার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়ে দেয়। পথে কনভয়ে অ্যাম্বুলেন্স ঢোকানো হবে বলেও জানা গিয়েছে। পথেই কোলাঘাটে চিকিৎসকদের সাহায্য নেওয়া হতে পারে।
নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
এই ঘটনার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, সে কোনও এজেন্সিকে দিয়ে এর তদন্ত করানো হোক। পাশাপাশি তাঁর কনভয়ের সঙ্গে থাকা আইপিএসদের সাসপেন্ড করার দাবিও তোলা হয়েছে। সঙ্গে থাকা পুলিশকর্মীদের সাসপেন্ড করা উচিত বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন এত নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল। মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কমানা করা হয়েছে বিজেপির তরফে।