ভোটের কাজে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়োগ করছে মমতা সরকার, কমিশনে নালিশ ঠুকল বিজেপি
ভোটের কাজে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়োগ করছে মমতা সরকার, কমিশনে নালিশ ঠুকল বিজেপি
ভোটের উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই কমিশনে ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকেছে বিেজপি। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ভোটের কাজে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ব্যবহার করছে রাজ্য সরকার। যা ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। এতে মানুষের অবাধ ভোটের অধিকার ব্যহত হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
কমিশনে নালিশ বিজেপির
নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকল বিজেপি। এবার অভিযোগ রাজ্য সরকার ভোটের কাজে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ব্যবহার করছে। এতে সাধারণ মানুষের অবাধ ভোটাধিকার ব্যহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিজেপি। ভোটের সময় কোনও গণ্ডগোল হলে তাঁদের কোনও দায় থাকবে না। পরিকল্পনা করেই তাই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোটের ডিউটিতে পাঠাচ্ছে মমতা সরকার এমনই অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতারা।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার যেন সঠিক হয়
বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হলেও তার যথার্থ ব্যবহার করা হবে না। রাজ্য সরকার কেবল মাত্র শহর এবং জাতীয় সড়ক গুলির উপর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করবে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার যেন সঠিক ভাবে হয় সেদিকে নজর রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বিজেপি। সংবেদনশীল এলাকা গুলিতে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয় সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
রাজ্যে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
আজই রাজ্যে পৌঁছেছে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।মূলত সিআরপিএফ জওয়ানরা এসেছেন বিশেষ ট্রেনে। দুর্গাপুরে ২ কোম্পানি, বীরভূম, বাঁকুড়া ও বর্ধমানে ১ কোম্পানি করে এবং ডানকুনিতে ৫ কোম্পানি ও কলকাতা স্টেশনে ৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরে ধাপে ধাপে রাজ্যে মোট ১২৫ কোম্পানি েকন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
নজরে সংবেদনশীল এলাকা
কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসতেই বিশেষ নজরদারি শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের সংবেদবশীল এলাকা গুলি চিহ্নত করা হচ্ছে। নদিয়া,মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর,ঝাড়গ্রামে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। মাওবাদীদের গতিবিধির উপরেও নজর রাখা হচ্ছে।অন্যদিকে ইসলামপুরকেও সংবেদনশীল এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণ ২০১৬ সালে ভোটে ইসলামপুরে গণ্ডগোল হয়েছিল।