সংখ্যালঘু ভোটে কাঁটা মিম, মেটিয়াবুরুজের সভার অনুমতি না দিয়ে ওয়েসিকে কোন বার্তা মমতার
সংখ্যালঘু ভোটের কাঁটা মিম, মেটিয়াবুরুজের সভার অনুমতি না দিয়ে ওয়েসিকে কোন বার্তা মমতার
িমমকে নিয়ে যেন সিঁদুরে মেঘ দেখছেন মমতা। মুসলিম ভোট ভাগ হওয়ার আশঙ্কায় কাঁটা তৃণমূল কংগ্রেস শিবির। তাই মেটিয়াবুরুজে ওয়েইসির সভার অনুমতি দিল না প্রশাসন। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে মেটিয়াবুরুজে মিম সভা করলে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। ভোটের আগে কোনও ভাবেই সেই ঝুঁকি নিতে রাজি নয় পুলিশ প্রশাসন। শেষে সভার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে মিম। মিমের কর্মী সমর্থকদের মারধরও করেছে তৃণমূল কংগ্রেস এমনও অভিযোগ করা হয়েছে।
বাংলায় নজর ওয়েইসির
বিহার ভোেটর সাফল্যের পর বাংলায় নজর দিয়েছেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। প্রথম বাংলা সফরে এসেই ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে কথা বলেছে। সেখানেই অর্ধেক যুদ্ধ জয় করে ফেলেছেন তিনি। পীরজাদার দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলার ভোটের ময়দানে নামছে মিম। ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলায় সভা করতে আসছেন মিম প্রধান আসাদ উদ্দিন ওয়েইসি।
মেটিয়াবুরুজে সভার অনুমতি নেই
মূল সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়েই কথা বলে মিম। তাই সংখ্যালঘু ভোটকে টার্গেট করেই বাংলার ভোটের ময়দানে নামছে ওয়েইসির দল। মেটিয়াবুরুজে সভা করার কথা ওয়েইসির। আগে থেকেই তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়েছিল বঙ্গের মিম। কিন্তু তাতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ প্রশাসন। উল্টে সভা করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে মিম মেটিয়াবুরুজে সভা করলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। ভোটের আগে এই ঝুঁকি নিতে রাজি নয় পুলিশ প্রশাসন।
হাইকোর্টে মিম
পুলিশ প্রশাসন অনুমতি না দিলেও দমতে রাজি নয় ওয়েইসির দল, সভার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে তারা। মটিয়াবুরুজে মিমের শাখার নেতারা দাবি করেছেন এভাবে মিমের প্রচার আটকানো যাবে না। প্রয়োজনে আদালতের নির্দেশ নিয়ে তাঁরা সভা করবেন। ২৫ তারিখ যেভাবৈেই হোক ওয়েইসির সভা মেটিয়াবুরুজে তাঁরা করবেন বলে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।
সংখ্যালঘু ভোট ভাগের আশঙ্কা
মিম রাজ্যে পা জমালে সংখ্যালঘু ভোট ভাগের আশঙ্কা দেখা দেবে। আগে থেকেই তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছ শাসক দল। কারণ পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কোনও ভাবেই তিনি মিমের হাত ছাড়বেন না। আব্বাসের সঙ্গে যদি জোটের আসন রফা হয়ে যায়। তাহলে আর রক্ষে থাকবে না। সংখ্যা লঘুভোটের সিংহভাগটাই নিয়ে যাবে মিম আর আব্বাস সিদ্দিকির দল। যদিও এখনও জোটের সঙ্গে পাকাপাকি আসন রফা হয়নি বাম-কংগ্রেস জোটের। ২৮ তারিখ ব্রিগেডের আগে আসন রফা চূড়ান্ত করতে হবে বলে জানিয়েছে আব্বাস।
নন্দীগ্রামে আব্বাসের প্রার্থী
একেবারে বুদ্ধি করেই নন্দীগ্রাম আসন আব্বাসকে ছেড়ে দিয়েছে বামেরা। কারণ নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে নন্দীগ্রামে আব্বাসের দলকে প্রতিপক্ষে দাঁড় করালে সংখ্যালঘু ভোট কেটে নিয়ে চলে যাবে তাঁর। বিজেপির ভাগ্যেও জুটবে না সংখ্যা লঘু ভোট। একেবারে রাজনৈতিক কৌশলেই পদক্ষেপ করেছে বামেরা।
তৃণমূলেরও আছে প্রভুভক্ত নেতা! মমতার প্রতিহিংসা পরায়ণতার তুলনায় বিস্ফোরক দিলীপ