তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় স্থান পেলেন 'বেসুরো'দের মধ্যে কারা, একনজরে তালিকা
গত কয়েকমাসে তৃণমূলে (trinamool congress) বেসুরো হয়েছে অনেক জনপ্রতিনিধি। অনেকে চলে গিয়েছেন বিজেপিতে (bjp)। আবার কেউ কেউ রয়ে গিয়েছিলেন দলেই। তাঁদের অনেকের প্রতিই আস্থা রেখেছেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata ban
গত কয়েকমাসে তৃণমূলে (trinamool congress) বেসুরো হয়েছে অনেক জনপ্রতিনিধি। অনেকে চলে গিয়েছেন বিজেপিতে (bjp)। আবার কেউ কেউ রয়ে গিয়েছিলেন দলেই। তাঁদের অনেকের প্রতিই আস্থা রেখেছেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। এদিন তাঁদের নামও ঘোষণা করেছেন তিনি।
কথা দিলে কথা রাখেন, নন্দীগ্রাম থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ঘোষণা মমতার
কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী
এদিন
তৃণমূলের
প্রার্থী
তালিকায়
স্থান
পেয়েছেন
মালদার
তৃণমূল
নেতা
কৃষ্ণেন্দু
নারায়ণ
চৌধুরী।
তাঁকে
ইংরেজবাজার
থেকে
প্রার্থী
করা
হয়েছে।
সাম্প্রতিক
সময়ে
দলের
প্রতি
তাঁকে
বেসুরো
হতে
দেখা
গিয়েছে।
ইংরেজবাজারে
বিধায়ক
নীহাররঞ্জন
ঘোষের
বাড়িতে
ও
পার্টি
অফিসে
হামলায়
ঘটনায়
তাঁর
নাম
জড়িয়ে
পড়ে।
এরপর
তিনি
রাজ্য
সরকারের
দেওয়া
নিরাপত্তা
ফিরিয়ে
দেন।
২০১১
সালে
তিনি
কংগ্রেস
বিধায়ক
হিসেবে
নির্বাচিত
হয়ে
তৃণমূলে
যোগ
দেন।
এরপরে
২০১৩তে
উপনির্বাচনে
দয়ী
হয়ে
ফের
বিধায়ক
হন।
কিন্তু
২০১৬-তে
বাম-কংগ্রেস
সমর্থিত
নীহাররঞ্জন
ঘএাষের
কাছে
পরাজিত
হন।
তাঁকেই
ইংরেজবাজার
পুরসভার
চেয়ারম্যান
করেছিল
তৃণমূলের
সর্বোচ্চ
নেতৃত্ব।
যা
নিয়ে
নীহাররঞ্জন
ঘোষ
এবং
কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ
চৌধুরীর
মধ্যে
দড়ি
টানাটানি
কম
হয়নি।
শেষ
পর্যন্ত
নীহাররঞ্জন
ঘোষকে
টিকিট
দেওয়া
হয়
মালদহের
চাঁচলে।
বিশ্বনাথ পারিয়াল
এবারও দুর্গাপুর পশ্চিম থেকে দলের প্রার্থী তালিকায় স্থান পেয়েছেন বিশ্বনাথ পারিয়াল। সাম্প্রতিক সময়ে বেসুরো হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তিনি বলেছিলেন, দলের ভিতরে ও বাইরে থেকে বলার চেষ্টা করেছেন, শ্রমিকদের বঞ্চনা করা হচ্ছে। দলেরই একাংশ পকেট ভরানোর জন্য তা করছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে দলে মধ্যে থেকে আশ্বস্ত করা হলেও কাজ করতে না দেওয়ার অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমের সামনে করেছিলেন।
চিরঞ্জিত চক্রবর্তী
২০১১-র পর ২০১৬, তারপর ২০২১। এবারো বারাসত থেকে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সেই অভিনেতা থেকে রাজনীতিক হওয়ায় চিরঞ্জিত চক্রবর্তীকে সাম্প্রতিক সময়ে বেসুরো হতে দেখা গিয়েছে। গতমাসেই তিনি বলেছিলেন বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পেলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। সেকথা তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত টিকিট পেয়ে খুশি চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।
সাধন পাণ্ডে
গত বেশ কয়েকমাস ধরেই বেসুরো ছিলেন মানিকতলার বিধায়ক তথা ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বলেছিলেন, দলে অনেক পদ ও দায়িত্বে অনেক খারাপ লোক বলে আছেন। তৃণমূলের ভালোর স্বাস্থেই এইসব খারাপ লোকেদের সরানো উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। পাল্টা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, সাধনদার যদি কোনও বক্তব্য থাকে তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই জানানো উচিত। অনেকেই ভেবে ছিলেন তিনি শিবির বদল করতে পারেন। শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কেন্দ্র থেকেই টিকিট দিলেন তাঁকে।
অতীন ঘোষ
বিদায়ী পুরসভার ডেপুটি মেয়র ছিলেন। তাঁকে এবার কাশীপুর-বেলগাছিয়া থেকে তৃণমূলের টিকিট দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল। গত ডিসেম্বরে যখন শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূলে টানাপোড়েন চলছে, সেই সময় তিনি বলেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীর মতো জননেতা দল ছাড়লে দলের ক্ষতি হবে। দলে তাঁকে কোণঠাসা করার চেষ্টার অভিযোগ করে তিনি বলেছিলেন, বিভিন্ন সময়ে যাঁরা দলকে, দলনেত্রীকে চূড়ান্ত অপমান করেছেন, তাঁরাও দলে এসে এখন দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পিকের টিমকেও নিশানা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।