ট্রাডিশন ভাঙলেন মমতা! কারণ কি বিজেপি না প্রশান্ত কিশোর, জল্পনা তুঙ্গে
ক্ষমতায় থাকার সময়ে বামেদের ট্রাডিশন ছিল নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা। কিন্তু ক্ষমতা হারানোর সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি অন্যরকম হয়েছে। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যাও (mamata banerjee) ভোট ঘোষণার সঙ্গে
ক্ষমতায় থাকার সময়ে বামেদের ট্রাডিশন ছিল নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা। কিন্তু ক্ষমতা হারানোর সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি অন্যরকম হয়েছে। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যাও (mamata banerjee) ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূলের (trinamool congress) প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতেন। যদিও এবারে তা হয়নি। যা নিয়েই জল্পনা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। কারণ কি প্রশান্ত কিশোর (prashant kishor) নাকি বিজেপি yfpshf) , তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
লক্ষ্য মমতার কেন্দ্র ভবানীপুর, অমিত শাহের সফরে একাধিক পরিকল্পনা বিজেপির
শুক্রবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা নিয়ে জল্পনা ছিল
শুক্রবার সকালেই মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল এদিনই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। আর বিকেলেই দলের বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ফলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, অন্যবারের মতো নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই হয়তো তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে যাবে। গতবার বিধানসভা নির্বাচনেও তা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও শুক্রবার সবসমই লাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। ফলে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। সঙ্গে বাড়িতে সকাল থেকেই ছিল অন্যরকমের তৎপরতা। ছিল যজ্ঞের আয়োজন।
মমতা আক্রমণে বেছে নেন আট পর্যায়ের নির্বাচন ঘোষণাকে
নির্বাচনের দিন ঘোষণার কিছু পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে আটদফায় নির্বাচন করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রশ্ন করেন, কাদের অঙ্গুলি হেলনে এসব করা হচ্ছে? ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন তিনি। খেলা হবে হুঁশিয়ারির পাশাপাশি বিজেপিকে হারিয়ে ভূত করবেন বলেও জানান। তবে আট দফায় নির্বাচন হলেও ফলাফলে তার প্রভাব পড়বে না বলে উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মানুষ সবকিছুর জবাব দিয়ে, তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর আসনে পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী থাকতেও দেখা গিয়েছে।
এবার দায়িত্বে প্রশান্ত কিশোর
কারা আসন পেতে চলেছেন, আর কারা নয়, তাই নিয়ে জল্পনা চলেছে তৃণমূলের অন্দর মহলে। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে এবার তৃণমূলের নীতি-নির্ধারণের দায়িত্বে রয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে ১৬ আসন হারানোর পরে তৃণমূলের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরকে। তারপর থেকে আসন ধরে ধরে সার্ভে করেছে প্রশান্ত কিশোরের টিম অ্যাইপ্যাক। একদিকে যেমন ক্ষমতায় কিংবা পদে থাকা তৃণমূল নেতাদের বার্তা দেওয়া হয়েছে, আবার বিরোধী দলের নেতাদের তৃণমূলে আসতেও অফার দিতে দেখা গিয়েছেন প্রশান্ত কিশোরের টিমকে। মূলত প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার কারণকে সামনে রেখেই পরিকল্পনা ছকে ফেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা সেরে ফেলেছেন প্রশান্ত কিশোর। সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজও প্রায় সম্পূর্ণ। দিন দুয়েকেই মধ্যেই প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে ঘাসফুল শিবির।
বিজেপির দাবি, তাদেরকেও ভয় মমতার
দিন যত ভোটের দিকে এগিয়েছে তৃণমূল ততই ভেঙেছে। শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর প্রশান্ত কিশোরের কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করে মিহির গোস্বামী, শীলভদ্র দত্তদের তৃণমূল ছাড়ার তালিকা তৈরি করলে তৃণমূল ত্যাগের তালিকাটা দীর্ঘই হবে। যা সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি। শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতা বলেছেন, তৃণমূল আরও ভাঙবে। ফলে তৃণমূলে টিকিট বিলির পরে ঘাসফুল শিবিরে আরও কোনও ভাঙন হয় কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যদিও আগের মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন ২৯৪ টি আসনে তিনিই প্রার্থী। ২০১৬-তে সেই ঘোষণা কাজ করলেও, এবার তা কতটা কাজ করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।