তৃণমূলের কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন, নন্দীগ্রাম দিবসে মমতা ও ঘাসফুল শিবিরকে নিশানা শুভেন্দুর
তৃণমূলের কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন, নন্দীগ্রাম দিবসে মমতা ও ঘাসফুল শিবিরকে নিশানা শুভেন্দুর
নন্দীগ্রাম দিবসে (nandigram diwas) নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। এদিন তিনি তৃণমূলের কর্মসূচি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। ভাঙাবেড়িয়ায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি আগেও নন্দীগ্রামবাসীর পাশে ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন।
নন্দীগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা লোক দেখানো
এদিন শুভেন্দু অধিকারী গোকুলনগর এবং ভাঙাবেড়িয়ায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি কলকাতা থেকে যাওয়া তৃণমূল নেতাদের কটাক্ষ করে বলেন, পাঁচবছর আগে এঁদের দেখা যায়নি, গতবছরেও দেখা যায়নি নন্দীগ্রামে। আর সামনের বছরেও দেখা যাবে। প্রসঙ্গত এদিন কলকাতা থেকে ভাঙাবেড়িয়ায় গিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু, পূর্ণেন্দু বসু এবং দোলা সেন। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রার্থী হয়েছেন নন্দীগ্রামে। আরও উল্লেখ্য ২০১৫-র ডিসেম্বরের পরে ২০২১-এ নন্দীগ্রামে পা রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি রয়েছেন নন্দীগ্রামের পাশে
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি আগেও যেমন নন্দীগ্রামের পাশে ছিলেন। এখনও আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। ভোটে লড়াই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে তিনি হলদিয়ার ভোটার ছিলেন। এবার সেখান থেকে নাম কাটিয়ে নন্দীগ্রামের ভোটার হয়েছেন। আর সবাই যাতে ভোটের দিন ভোট দিতে পারেন, তার বন্দোবস্ত তিনি করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
তৃণমূলের অধিকার নেই
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস পালনের অধিকার নেই তৃণমূল কংগ্রেসের। কেননা নন্দীগ্রামে ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ গুলি চালানোর আদেশ দেওয়া সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্য দুই আধিকারিক অরুণ গুপ্তা এবং তন্ময় রায়চৌধুরীকে শাস্তির দেওয়ার বদলে পদোন্নতিতে সাহায্য করেছে তৃণমূলের সরকার। তিনি বলেন, সিলেবাসে সিঙ্গুরকে ঢোকানো হলেও, বাজদ রয়ে গিয়েছে নন্দীগ্রাম।
নন্দীগ্রামে ঢুকতে সাহায্য করেছিলেন বিজেপি নেতারা
এদিন শুভেন্দু অধিকারী ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ এবং তার পরবর্তী সময়ের কথা স্মরণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ১৪ মার্চ তিনি নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারেননি। পরের দিন নদী পেরিয়ে তিনি নন্দীগ্রামে ঢোকেন। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৫ মার্চ নন্দীগ্রামে এসেছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ফিরে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, সেই সময় তাঁরা (শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর অনুগতরা) সোনাচূড়া, গোকুলনগরে ঢুকতে পারছিলেন না। তিনি বলেছেন, ১৯ মার্চ তৎকালীন বিরোধী দলনেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী হেঁড়িয়া দিয়ে বিজেপির প্রতিনিধি দল নিয়ে এসেছিলেন। সেই দলে রাজনাথ সিং, সুষমা স্বরাজরা ছিলেন। হেঁড়িয়া, কামারদায় সিপিএম-এর অবরোধ তুলে দিয়েছিল সেই সময় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা। নন্দীগ্রামে ঢোকার রাস্তা বিজেপিই খুলে দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুভেন্দু আসার আগে ভাঙাবেড়িয়ায় উত্তেজনা, পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলকর্মীদের বচসা