বিজেপির ঘর থেকে ভোট কেটে 'ঘাসফুল ফোটানোর' নয়া অস্ত্রে শান প্রশান্ত কিশোরের! রণনীতি একনজরে
বিজেপির ঘর থেকে ভোট কেটে 'ঘাসফুল ফোটানোর' নয়া স্ট্র্যাটেজিতে প্রশান্ত কিশোর! রণনীতি একনজরে
শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন কালীঘাটে পদ্ম ফোটাবেন। আর কার্যত মুখে কিছু না বলে এবার বিজেপির পোক্ত জমিতে ফের ঘাসফুল ফোটাতে ব্যস্ত পিকে। প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল যথেষ্ট হয়েছে। এমন জায়গা থেকে তৃণমূলের শক্তিকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে নয়া স্ট্র্যাটেজিতে খেলছে পিকে শিবির।
ক্ষোভের আগুন নেভাতে ময়দানে পিকে বাহিনী
দলের মধ্যে বহুস্তরের নেতাদেরই ক্ষোভ ছিল যে, কোথায় যাব? কোন জামা পরে যাব, তা কেন পিকে বলে দেবেন? অনেকেই মনের কথা মমতাকে জানাতে চেয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল দলীয় কর্মী আর মমতার মাঝে চলে আসছে প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশাবলী। এই জায়গা থেকেই ক্ষোভ মেটাতে আইপ্যাক একাধিক জায়গা এমন তৈরি করার প্রচেষ্টা নেয় যেখান থেকে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা সোজাসুজি মমতার সঙ্গে কথা বলতে পারেন। ফলে ক্ষোভ যেন একুশের আগদে দল থেকে উবে যায়, তার চেষ্টায় পিকের আইপ্যাক।
বিজেপির ভোটে থাবা
২০১৯ সালে মমতার গড়ে থাবা বসিয়ে বিজেপি ১৮ আসনে বাংলায় কার্যত গেরুয়া ঝড় তোলে। যা নিঃসন্দেহে মমতা শিবিরের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এই জায়গা থেকে পিকে ফের একবার মমতাকে তাঁর 'হৃত রাজ্য' পুনরুদ্ধারে সাহায্যের আশ্বাস দেন। এক্ষেত্রে বিজেপির দখলে থাকা লোকসভা আসনের অন্তর্গত বিধানসভাগুলিতে বিজেপির নিচের মাঠেই বিজেপিকে দুরমুশ করার প্ল্যানে প্রশান্ত কিশোর। সেই জায়গা থেকে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ।
আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ককে নজরে রেখে টার্গেট সেট!
মূলত, আদিবাসী, উপজাতি ভোটব্যাঙ্ককে নজরে রেখে কয়েকদিন আগে কলকাতার বুকে তৃণমূল এসসি এসটি সেলের সম্মেলন আয়োজন করে। যার নেপথ্য মস্তিষ্ক পিকে। সেই মঞ্চ থেকেই আদিবাসী ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অনুন্নয়নের বার্তা দেন মমতা। যে বার্তা তৃণমূল বারবার দিতে চেয়েছে জঙ্গলমহল আর উত্তরবঙ্গকে ফোকাসে রেখে।
দুয়ারে সরকার ও 'কিশোর' চাল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'দুয়ারে সরকার' ১০ লাখ সম্প্রদায় নির্ভর কাস্ট সার্টিফিকেট তপশিলী জাতি এ উপজাতিদের দিয়েছে এক মাসের মধ্যে। যা নিঃসন্দেহে ভোটের আগে একটি বড় দিক। এছাড়াও দুয়ারে সরকারের হাত ধরে অনেকেই জমির মালিকানা পেয়েছেন। যা ভোটব্যাঙ্কে তৃণমূলকে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
ময়দানে আইপ্যাক বাহিনী!
বিজেপির অনুন্নয়ন, কেন্দ্রের বঞ্চনা সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে এবার তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের পাশাপশি ময়দানে নেমেছেন আইপ্যাকের বহু কর্মী। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের কাজ পোক্ত করছেন। বিজেপির এসসি সেলের নেতার মতে এই ভাবে অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মুখ থেকে কোনও বার্তা যাওয়া ভোটব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে তৃণমূলকে।
বিজেপির অস্ত্রেই বিজেপিকে মাত!
মূলত লোকসভা ভোটেও দেখা গিয়েছে যে সোশ্যাল মিডিয়া বিজেপির কতবড় হাতিয়ার। বিজেপির ট্রোল আর্মি থেকে তৃণমূলের অভিযোগের তালিকায় আছে ফেক ভিডিও। সেই সমস্ত দিকে মমতার চোখ হয়ে উঠেছেন প্রশান্ত কিশোর। এইভাবে বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ প্রচার রোধ করে গ্রাউন্ড জিরো পর্যন্ত মমতার বার্তা ও তৃণমূলের কাজ পৌঁছে দেওয়াতে ঘাসফুল শিবিরের অন্যতম হাতিয়ার প্রশান্ত কিশোর। প্রশান্ত কিশোর নিজে জেলাস্তরের নেতাদের পার্টির কাজে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারের দিক যেমন দেখিয়ে দিচ্ছেন , তেমনই উইকএন্ডের তৃণমূলের বহু নেতার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেনিং সেশনও আয়োজন করা হচ্ছে।
এবার বাম ছাত্র-যুবদের মুখে 'খেলা হবে' স্লোগান! নবান্ন অভিযান নিয়ে চ্যালেঞ্জ