গরু পাচারকাণ্ডে আরও বিপাকে বিনয় মিশ্র, যুব তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডির তল্লাশি
গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই-এর (cbi) পরে এবার ইডির (ed) নজরে পলাতক যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র। এদিন সকাল থেকে কলকাতায় একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছেন ইডির আধিকারিকরা। এর আগে সিবিআইও তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল। না পাওয়
গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই-এর (cbi) পরে এবার ইডির (ed) নজরে পলাতক যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র। এদিন সকাল থেকে কলকাতায় একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছেন ইডির আধিকারিকরা। এর আগে সিবিআইও তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল। না পাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বিশেষ সিবিআই আদালত।
বিনয় মিশ্রের বাড়িতে ইডির তল্লাশি
এদিন সকাল প্রায় আটটা থেকে দিল্লি থেকে আসা ইডির আধিকারিকরা তল্লাশি শুরু করেন। জানা গিয়েছে কলকাতায় থাকা বিনয় মিশ্রের তিনটি ঠিকানায় দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির আধিকারিকরা। কাগজপত্র, কম্পিউটার পরীক্ষা করে দেখেন তারা। পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিনয় মিশ্র কোথায়, তারা তা জানেন না। তবে পলাতক থাকা বিনয় মিশ্র ইডির তল্লাশির পরে আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। এবার ইডির তরফ থেকেই তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হবে।
কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ
ইডি সূত্রে খবর কোটি কোটি টাকা বিভিন্নভাবে সরিয়েছেন বিনয় মিশ্র। অভিযোগ, গরু পাচারের টাকা যেমন তিনি দেশের বাইরে পাঠিয়েছেন, ঠিক তেমনই বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে কালো টাকাকে সাদা করার চেষ্টা করেছেন।
সিবিআই-এর গ্রেফতারি পরোয়ানা
জানুয়ারিতে বিনয় মিশ্রের একাধিক আস্তানায় তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। রাসবিহারী এভিনিউ, লেকটাউন-সহ তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। কম্পিউটার হার্ডডিস্ক-সহ একাধিক জিনিস বাজেয়াপ্ত করে তারা। লুকআউট নোটিশ জারির পরেও সমন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। এরপরেই আসানসোলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। সিবিআই সূত্রের দাবি, বিনয় মিশ্রকে ধরতে পারলে গরু পাচারের পাশাপাশি কয়লা পাচার সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে, তার কাছ থেকে। ইতিমধ্যেই সিবিআই সূত্রের দাবি, বিনয় মিশ্রের কাছে তিনটি পাসপোর্ট রয়েছে। ভারত, বাংলাদেশের পাশাপাশি দুবাইয়ের পাসপোর্ট রয়েছে তার কাছে।
পরিবারের সদস্যদেরও জেরা
সিবিআই বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্রকেও জেরা করেছিল। দাদা শেষ কোথায় ছিল, কবে শেষ যোগাযোগ হয়েছিল, ফোন নম্বর সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। অন্যদিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন বিনয় মিশ্রের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ ২০১৩ সাল থেকে। এমন কী ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের তিন কনস্টেবলকে বিনয় মিশ্রের নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। সেই তিন কনস্টেবলের নামও তিনি করেছিলেন।
ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস একনজরে