শুভেন্দু-রাজীবদের যোগদানে কি খুশি নন দিলীপ, তুললেন প্রশ্ন
বিজেপির (bjp) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (dilip ghosh) লক্ষ্য তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) ক্ষমতা থেকে সরানো। মমতাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন একের পর এক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা। কিন্ত
বিজেপির (bjp) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (dilip ghosh) লক্ষ্য তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) ক্ষমতা থেকে সরানো। মমতাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন একের পর এক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা। কিন্তু দিলীপ ঘোষ কি সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন তৃণমূল (trinamool congress) নেতাদের মেনে নিতে পারছেন না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল দিলীপ ঘোষের কথাতেই।
সংকটে বাংলার সংস্কৃতি! যেমন পিসি তেমন ভাইপো, উদাহরণ তুলে মমতা ও অভিষেককে নিশানা নাড্ডার
নেতারা যোগ দিতে আসছেন আর বলছেন নিরাপত্তা লাগবে
নিয়মিত প্রাতর্ভ্রমণে বেরনো রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে চলে চা আড্ডা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে যুক্ত হয়ে ছোট সভাও। এররকমই এক সভায় ৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভাষণ দিচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতারা যোগ দিতে আসছেন আর বলছেন নিরাপত্তা লাগবে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পিছন ঘুরে মঞ্চে বসে থাকা নেতাদের জিজ্ঞাসা করেন কার কার আলাদা নিরাপত্তা আছে। সেই সময় মঞ্চে এমন কেউ ছিলেন না, যাঁর কিনা আলাদা করে নিরাপত্তা আছে। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এখন সব তৃণমূল নেতাদের বাড়ির সামনে পুলিশ পাহারা রয়েছে। কেননা প্রায় সবাই তোলাবাজি আর কাটমানিতে অভিযোগ। মানুষ সামনে পেলেই কলার ধরবে তাদের।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা শুভেন্দু, রাজীবের
এব্যাপারে উল্লেখযোগ্য যে রাজ্যের মন্ত্রিত্ব ছেড়ে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার পরেই শুভেন্দু অধিকারীর জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। আর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই জানা যায় তাঁর জন্য জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরের দিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে জানানো হয় তাঁর জন্য জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এই ব্যবস্থায় একজন কমান্ডান্টের অধীনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ২৪ জন জওয়ান থাকেন। যদিও এব্যাপারে জানা যায়নি শুভেন্দু অধিকারী, কিংবা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়েছিলেন কিনা।
প্রাক্তন তৃণমূলী আর যাঁরা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান
সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। তাঁকে ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এপ্রসঙ্গে আরও উল্লেখ্য যে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপির কলকাতা জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংও।
তাঁকে জোর করে নিরাপত্তা দিয়েছিলেন মমতার সরকার
একই জায়গায় দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, তাঁকে মমতার সরকারই জোর করে নিরাপত্তা দিয়েছিল। তাও আবার তাদের দলের বিধায়ককে হামলার চালানোর পরের দিন। বিস্তারিত বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী ঢিল মারেন আবার পুলিশও পাঠিয়ে দেন। তিনি বলেন, যে সময় তিনি কাদাপাড়ায় থাকতেন, সেই সময় একদিন পরেশ পাল লোকজন নিয়ে গিয়ে তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান, ঢিল মারেন। তারপরের দিনই নিরাপত্তা দেয় সরকার। এই বিষয়টিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, রাবড়ি পলিটিক্স করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, রাজ্য সরকারই তাঁকে প্রথম নিরাপত্তা দিয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিধানসভায় প্রশ্ন করেছিলেন কে নিরাপত্তা দিয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, তিনি পাল্টা বলেছিলেন কে নিরাপত্তা চেয়েছে।