'২ টাকার চালে ১ টাকা কাটমানি', তৃণমূলকে আক্রমণ করে আদিবাসী ভোটে 'ফোকাস' দিলীপের
আজকে রানি রাসমণী রোডে মতুয়াদের জনসভায় কড়া ভাষায় তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন বিজেপি সাংসদ বলেন, 'মোদীজি বলেছেন, আমার সরকার গরিবের সরকার। আমরা এখানে ২ টাকায় চাল পাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন তিনি এই চাল দিচ্ছেন। কার থেকে এনে দিচ্ছেন? সেই তো মোদীজি পাঠাচ্ছেন। এক কেজি চাল পাঠাতে কেন্দ্রের ৩০ টাকা খরচ হয়। কেন্দ্রের পাঠানো সেই চালের জন্য ১ টাকা দেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। আর এক টাকা কাটমানি খেয়ে ২ টাকায় আপনাদের দিচ্ছেন।'
দিলীপ ঘোষের গলায় আদিবাসী বন্দনা
এদিকে এদিন আদিবাসীদের বিকাশের ক্ষেত্রে বিজেপি যে অগ্রণী ভূমিকা নেয়, তা দাবি করে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমাদের তিন জন আদিবাসী সাংসদ আছেন। আমরা মালদার জেনারেল আসন থেকেও একজন আদিবাসী নেতাকে জিতিয়ে এনেছি। ঝাড়খণ্ডের অর্জুন মুন্ডা কেন্দ্রের মন্ত্রী। তাছাড়া বিজেপি সরকারে আসতেই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে একটি আলাদা মন্ত্রক গঠন করা হয়।'
'চাকরিতে বাঙালিদের ৮০ শতাংশ সংরক্ষণ'
এদিকে বিজেপি আদিবাসী ভোটে নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখার ছক কষলেও সেই সমীকরণ ভাঙতে ময়দানে এবারে নেমেছে শিবসেনা। শুক্রবার রাজ্যে সরকারি, বেসরকারি চাকরিতে বাঙালিদের ৮০ শতাংশ সংরক্ষণ, বাংলা ভাষা-সহ রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের দাবিতে শিবসেনার সমাবেশ হয় ঝাড়গ্রামে। জনসভায় বিজেপি সহ বিভিন্ন দল থেকে বেশ কিছু নেতা কর্মীরা শিবসেনায় যোগ দেয়। উপস্থিত ছিলেন শিবসেনার ঝাড়গ্রাম জেলার সভাপতি মধু সিং, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকার-সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
কেন্দ্রীয় সরকার দেশকে বিক্রি করে চলেছে
বিজেপিতে শুভেন্দু অধিকারীর যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে মধু সিং বলেন, 'মানুষের ভোট নিয়ে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। নিজের জেলে যাওয়া থেকে বাঁচাতে বিজেপির পা ধরছে। এতদিন রাজ্যের টাকা লুঠ করে এখন সতী সাজছে।' এর সঙ্গে মোদী সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, 'এক বছর মারণ করোনায় যখন দেশ আক্রান্ত তখন বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার দেশকে বিক্রি করে চলেছে। অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য সামগ্রীকে বিক্রি করে দিচ্ছে। মোদী সরকারের ঘুম ভাঙছে না। তারা দেখাচ্ছে এনআরসি ও এনপিআর। চাষিরা যখন শীতে দিল্লির সীমান্তে আন্দোলন করছে তখন নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে মোদী।'
এরা বাংলা জানেনা, তাও বাংলা দখল করতে এসেছে
শিবসেনার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকার বলেন, 'বিজেপি নিজেকে হিন্দুত্ববাদী দল বলে। আমরাও হিন্দুত্ববাদী দল। তবে আমরা রাম, ওরা বিভিষণ। বিজেপির বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে তাদেরকে পুলিশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তা থেকে কবি সাহিত্যিক সাংবাদিকরাও ছাড় পাচ্ছেন না।' কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে বলেন, 'এরা বাংলা জানেনা। তাও বাংলা দখল করতে এসেছে। বিজেপিতে আর ভদ্রলোকের জায়গা নেই।'