মমতা ফের হাত মেলাবেন বিজেপির সঙ্গে, ব্রিগেডের সভা থেকে ভবিষ্যদ্বাণী ইয়েচুরির
নির্বাচনের পরে যদি ত্রিশঙ্কু বিধানসভা তৈরি হয়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) ফের বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবেন। রবিবার এমনটাই মন্তব্য করেছেন সিপিএম (cpim)সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (sitaram yechury) । এদি
নির্বাচনের পরে যদি ত্রিশঙ্কু বিধানসভা তৈরি হয়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) ফের বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবেন। রবিবার এমনটাই মন্তব্য করেছেন সিপিএম (cpim)সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (sitaram yechury) । এদিন তিনি ব্রিগেডের সমাবেশ থেকে আরএসএস-বিজেপিকে (rss-bjp) রুখতে গেলে প্রথমেই তৃণমূলকে পরাস্ত করতে হবে।
তৃণমূলের বেনোজল বিজেপিতে, তাপ বাড়িয়ে বাষ্প করে ওড়ানোর হুঙ্কার সেলিমের
বাংলার মানুষ পরিবর্তন চায়
এদিন সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, বাংলার মানুষ পরিবর্তন চায়। কিন্তু মানুষের কাছে বিজেপি কিংবা তৃণমূল কোনও বিকল্প নয়। এদের একজন লুটে বিশ্বাসী, অপর জন দুর্নীতিতে। তিনি বলেন, এদিন ব্রিগেডের ভিড় বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলার মানুষ পরিবর্তন চায়। রাজ্যে জনহিতের সরকার তৈরি হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বাম এবং ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির মহাজোট তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সফল হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।
তৃণমূল ও বিজেপির মক ফাইট
ইয়েচুরি এদিন তৃণমূল এবং বিজেপির লড়াইকে মক ফাইট বলে উল্লেখ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, গেরুয়া দল করোনা মহামারীর সময়ে গঠিত পিএম কেয়ার্সের ফান্ডের টাকা ভোটের সময় ব্যবহার করছে নেতাদের কিনতে। তিনি বলেন, সিংঘু সীমান্তে কৃষকরা মোদী সরকারের নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এখানকার যুবকদের সঙ্গে যা করছেন, ঠিক সেটাই মোদী করছেন কৃষকদের সঙ্গে। তিনি বলেছেন, তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়েই সাধারণের সমস্যা থেকে চোখ ঘোরাতে ধর্মকে ব্যবহার করছে।
ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে কী করবে মহাজোট। এব্যাপারে বলতে গিয়ে সীতারাম বলেছেন, এব্যাপারে তৃণমূল ভাল উত্তর দেওয়ার জায়গায় রয়েছে। তিনি বলেন, তৃণমূল এনডিএ-র অংশীদার রয়েছে ১৯৯৮ সাল থেকে। কেন্দ্রীয় সরকারেও অংশ নিয়েছিল তৃণমূল। তিনি বলেন, যদি ত্রিশঙ্কু বিধানসভা তৈরি হয়, তাহলে তিনি নিশ্চিত তৃণমূল বিজেপির সঙ্গে মিলে গিয়ে সরকার গঠন করবে। বাংলায় তৃণমূল এবং বিজেপিকে পরাস্ত করতে সব ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে এক হওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। তা করতে পারলে দেশেও বিজেপির অগ্রগতি ঠেকিয়ে দেওয়া যাবে।
রাজনীতিতে পরিবার বাদ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ
বিজেপি রাজনীতিতে পরিবারবাদ নিয়ে মূলত কংগ্রেসকে নিশানা করে যাচ্ছে। এব্যাপারে ইয়েচুরি বলেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ কীভাবে বিসিসিআই-এর সভাপতির পদে বসেন? অন্যদিকে একটি স্টেডিয়াম কীভাবে নরেন্দ্র মোদীর নামে হয়ে যায়, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।