দুঃখপ্রকাশ করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর, যুব নেতার মৃত্যুতে সুব্রত-র আত্মহত্যা তত্ত্ব নিয়ে কড়া আক্রমণ সুজনের
দুঃখপ্রকাশ করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর, যুব নেতার মৃত্যুতে সুব্রত-র আত্মহত্যা তত্ত্ব নিয়ে কড়া আক্রমণ সুজনের
যুব নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যুর পরে ময়নাতদন্তে দেরির অভিযোগে উত্তাল মৌলালি। সেখানে উপস্থিত বামকর্মী-সমর্থকরা পুলিশকে তাড়াও করেন। অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (sujan chakraborty) রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (subrata mukherjee) সংবেদনশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি এই মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) কাছে তিনি দুঃখপ্রকাশ করার দাবিও তুলেছেন।
মৃত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্যার সঙ্গে তুলনা
এদিন সকালে মইনুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যুর পরে সংবাদ মাধ্যমের তরফে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। প্রথমে তিনি বলেন, এই মৃত্যু দুঃখজনক। তবে ওরা ডেডবডি চাইছিল। কেননা তিনি (সুব্রত) বামেদের চেনেন গত ৫০ বছর ধরে। ১১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সেরকম কিছুই করেনি বলে দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি এই ঘটনাকে আত্মহত্যার সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, কেউ আত্মহত্যা করলে কিছু করার নেই। তিনি আরও বলেন, অতিবিপ্লবী হওয়ার জেরেই এই মৃত্যু।
সুব্রতকে নিশানা সুজনের
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের জেরে তাঁকে কড়া আক্রমণ করেন বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথায় নিন্দার ভাষা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
এদিকে এদিন বিকেলে এই মৃত্যু নিয়ে নবান্ন থেকে প্রতিক্রিয়া জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন এব্যাপারে পুলিশের বক্তব্যই তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এদিন যুগ্ম কমিশনার সদর এক বিবৃতিতে বলেছেন, মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ওই ব্যক্তি ১৪ তারিখ রাত ২টোয় ভর্তি হন লাইফ লাইন নার্সিং হোমে। কিন্তু ১১ তারিখ নবান্ন অভিযানের দিনের পর থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত কোন ক্লিনিকে ভর্তি ছিলেন তিনি, কি চিকিৎসা হয়েছে সেখানে, কেনো কোনও সরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়নি এই বিষয় গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নার্সিং হোমে ভর্তির কথা রবিবার বিকেলে প্রথম জানতে পারে শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিশ। গোটা বিষয়টি গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করে দেখছে। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা হিসেবে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। পুলিশের দাবি শুধুমাত্র বাঁ পা ছাড়া মৃতের শরীরের বাইরে আর কোথাও আঘাত নেই। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলেন। রাজ্য সরকার পরিবারটির জন্য একটি সরকারি চাকরির পাশাপাশি আর্থিক সাহায্য করবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
দুঃখপ্রকাশ করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, পুলিশ লাঠি চালাল কোমড়ের ওপরে। এতগুলো ছাত্র যুব আহত হল। একজনের মৃত্যু হল। এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী দুঃখপ্রকাশ করা উচিত ছিল। তিনি বলেন, যাঁরা সেখানে লাঠির ঘায়ে আহত হয়েছিল, তাঁদের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কথা পুলিশের। কিন্তু তারা তা করেনি। নিখোঁজ থাকলে বাড়িতে খবর দেওয়ার কথা পুলিশের তাও তারা করেনি।
৩৪ বছরের 'রাজ্যপাট' ফেরাতে ৩৪ মাসই ভরসা, মমতার 'অস্ত্র' আবার বামেদের 'উদাহরণ'