আব্বাসে দরাজ সিপিএম, নন্দীগ্রামের পর অপর 'বাম' আসন আইএসএফ-এর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিতে (abbas siddiqui) দরাজ সিপিএম (cpm)। বেশ কিছু আসন নিয়ে কংগ্রেস এখনও নারাজ থাকলেও, আব্বাস সিদ্দিকিকে নিয়েই লড়াই করতে বদ্ধ পরিকর বর্তমান সিপিএম রাজ্য নেতৃত্ব। মঙ্গলবার আব্বাস সিদ্দিকির দাবি মতে
পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিতে (abbas siddiqui) দরাজ সিপিএম (cpm)। বেশ কিছু আসন নিয়ে কংগ্রেস এখনও নারাজ থাকলেও, আব্বাস সিদ্দিকিকে নিয়েই লড়াই করতে বদ্ধ পরিকর বর্তমান সিপিএম রাজ্য নেতৃত্ব। মঙ্গলবার আব্বাস সিদ্দিকির দাবি মতো নন্দীগ্রাম ছেড়ে দেওয়ার পরে এবার ভাঙড় আসনটিও আইএসএফকে (isf) ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম।
রায়দিঘির প্রতি 'অভিমানী', রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে 'বড়' সিদ্ধান্ত দেবশ্রীর
আব্বাস দাবি করেছিলেন সোমবার
তৃণমূল-বিজেপির সামনে সংগঠনের অবস্থা ঝড়ঝড়ে। বেশ কিছু নতুন মুখ উঠে এলেও কার্যত শীর্ষ নেতাদেরও ভরসা নেই তাদের সংগঠন আর মানুষের প্রতি। যে কারণে পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি সোমবার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ভাঙড় আসনটা তাদের চাইই। কোথায় কী পেলেন না পেলেন জানার দরকার নেই, ভাঙড় তাদের চাই-ই। তাঁর দাবি ছিল ভাঙড়ে তাদের সংগঠন জোরদার। তারা বেরিয়েছে বলেই সিপিএম, কংগ্রেসে পতাকা তুলতে পেরেছে। কিন্তু ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড নিয়ে বামেদের সংগঠন যে শক্তিশালী হয়েছিল , সেই দাবিকেও পাত্তা দিতে রাজি ছিলেন না আব্বাস। কেননা তার কাছে টাটকা তৃণমূলের হামলা অভিযোগ। আব্বাস দাবি করেছিলেন ভাঙড় আসন দিতে হবে। আর ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করতে হবে। না হলে তার দল ব্রিগেডের সমাবেশে যোগ দেবে না। খেলায় কোনও দল নয়, রেফারি কিংবা আম্পায়ার তারা হবেন, বলেছিলেন আব্বাস।
ভাঙড় নিয়ে সিদ্ধান্ত
এবার ভাঙড় আসনটিও আইএসএফ-এর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। স্বাধীনতার পরে প্রথম নির্বাচন থেকে শুরু করে ১৯৭১-এর নির্বাচন পর্যন্ত ওই আসনে জাতীয় কংগ্রেস জয়ী হলেও, তারপর থেকে একটানা জিতে এসেছে সিপিএম। দুইবার আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা, দুবার দাউদ খান, চারবার বাদল জমাদার জয়ী হয়েছিলেন ওই আসন থেকে। ২০০৬ সালে শিল্পায়নের স্লোগানে ভাঙড় চলে গিয়েছিল আরাবুলের দখলে। কিন্তু পরিবর্তনের হাওয়াতেও ২০১১ সালে সিপিএমের বাদল জমাদার আসনটি দখল করেন। তবে ২০১৬ সালে আব্দুল রেজ্জাক মোল্লা জয়ী হয়ে তৃণমূল সরকারে মন্ত্রী হন।
মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম আসন নিয়ে সিদ্ধান্ত আগেই
মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বামেরা। ১৯৫২ সাল থেকে টানা লড়ে আসা আসন সিপিএম-এর কথায় ছেড়ে দিতে রাজি হয় সিপিআই। ওই এলাকার সংখ্যালঘু ভোটের কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয় বামেরা। একের পর এক সংখ্যালঘু আসন বামেরা আইএসএফ-এর হাতে তুলে দিলেও এখনও তৈরি নয় কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের চিঠির প্রেক্ষিতে সনিয়া গান্ধী এব্যাপারে দায়িত্ব দিয়েছেন কেসি ভেনুগোপালকে।
আব্বাসে দরাজ সিপিএম
আলিমুদ্দিনে আলোচনায় এখনও পর্যন্ত ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ২৩০ টিতে বাম-কংগ্রেসের সমঝোতার কথা জানা গিয়েছে। বাকি ৬৪ টি আসনের মধ্যে আব্বাস সিদ্দিকিকে ৩০ থেকে ৩৫ টি আসনের মধ্যে বেঁধে রাখতে চায় বাম নেতৃত্ব। বাকি আসনগুলি বাম-শরিকদের দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে শরিক সিপিআই, আরএসপি, ফরওয়ার্ডব্লকের কটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এখন সেটাই দেখার।