বাম-কংগ্রেসের আসনরফার মধ্যে বাড়ছে 'দূরত্ব'! প্রবীণ নেতার মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে
একদিকে যখন বাম-কংগ্রেস (left congress) নেতৃত্ব রাজ্যের ২৯৪ টি আসনে নিজেদের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করার পথে, সেই সময় প্রবীণ কংগ্রেস (congress) নেতার মন্তব্যে জল্পনা তৈরি হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের সিপিএম (cpim) নেতৃত্ব তাঁর বিরু
একদিকে যখন বাম-কংগ্রেস (left congress) নেতৃত্ব রাজ্যের ২৯৪ টি আসনে নিজেদের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করার পথে, সেই সময় প্রবীণ কংগ্রেস (congress) নেতার মন্তব্যে জল্পনা তৈরি হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের সিপিএম (cpim) নেতৃত্ব তাঁর বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক কথা বলেছে বলে অভিযোগ করেছেন দেবপ্রসাদ রায় (debaprasad roy)।
মমতাকে 'টা টা' করার জন্য তৈরি বাংলার মানুষ! বঙ্গে পদ্ম ফুটবেই, দাবি জেপি নাড্ডার
সিপিএম-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ
দেবপ্রসাদ রায়ের অভিযোগ সরাসরি সিপিএম-এর বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, ২২ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ারের জেলা সিপিএম নেতৃত্ব প্রকাশ্যেই বলেছে, এবার আলিপুরদুয়ার থেকে দেবপ্রসাদ রায় কংগ্রেস প্রার্থী হলে, বামেরা তাঁর(দেবপ্রসাদ) বিরুদ্ধে কাজ করবে। এব্যাপারে সিপিএমের তরফে বলা হয়েছে, ২০১৬-তে দেবপ্রসাদ রায় সেখান থেকে কংগ্রেস প্রার্থীকে হারাতে তলে তলে কাজ করেছিলেন এবং তৃণমূলের সৌরভ চক্রবর্তীকে জেতাতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন।
সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
বিষয়টি নিয়ে দেবপ্রসাদ রায় লিখিতভাবে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সুজন চক্রবর্তী নীরব থেকে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তাঁর। তাঁকে (সুজন) ফোন করার পরে সুজন চক্রবর্তী নাকি বলেছেন, তিনি বিষয়টি দেখছেন। কিন্তু এব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা তিনি দেখতে পাননি।
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সরাসরি প্রস্তাব নেই
তাহলে
কি
তিনি
তৃণমূল
যোগ
দিচ্ছেন,
এই
প্রশ্নের
উত্তরে
প্রবীণ
কংগ্রেস
নেতা
দেবপ্রসাদ
রায়
জানিয়েছেন,
তৃণমূলের
তরফে
এব্যাপারে
তাঁকে
সরাসরি
কোনও
প্রস্তাব
দেওয়া
হয়নি।
তিনি
আরও
বলেছেন,
এই
প্রশ্ন
তাঁর
কাছে
অবমাননাকরের
মতো।
তিনি
বলেছেন,
যখন
রাজ্য
এই
প্রশ্নের
মুখে
দাঁড়িয়ে,
গণতান্ত্রিক
শক্তি
ক্ষমতা
দখল
করবে
না,
বিজেপি,
সেই
পরিস্থিতিতে
তিনি
সেই
লড়াইয়ে
সৈনিক
হতে
তৈরি।
তিনি
আরও
বলেছেন,
তাঁর
অবস্থানগত
বদল
হতে
পারে।
কেননা
তাঁর
বিরুদ্ধে
প্ররোচনামূলক
কথা
বলা
হয়েছে,
আর
এব্যাপারে
কেউ
কোনও
ব্যবস্থা
নেননি।
পাশাপাশি
প্ররোচনা
দিয়েছে
কংগ্রেসও।
প্রদেশ
কংগ্রেসে
তাঁর
এক
অনুগামী
বলেছেন,
যেখানে
সিপিএম
কিংবা
বিজেপি
এখনও
মমতার
কুশপুতুল
পোড়ায়নি,
সেখানে
কংগ্রেস
ধর্মতলায়
মমতার
কুশপুতুল
পুড়িয়েছে।
তাঁর
মতে
কংগ্রেসের
উচিত
ছিল
মোদীর
কুশপুতুল
পোড়ানো।
তৃণমূলের কাছে গ্রহণযোগ্য দেবপ্রসাদ রায়
উত্তরবঙ্গে দীর্ঘদিন বাম বিরোধী আন্দোলন করেছেন দেবপ্রসাদ রায় ওরফে মিঠু। পাশাপাশষি ২০০৬ থেকে ২০১১ জলপাইগুড়ি এবং ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক ছিলেন। ২০১৬-তে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে তাঁকে নাকি আলিপুরদুয়ার থেকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। অন্যদিকে ২০১৯-এর নির্বাচনে তৃণমূল উত্তরবঙ্গে সব থেকে বেশি ধাক্কা খেয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে দেবপ্রসাদ রায়ের মতো নেতা তৃণমূলের কাছে যথেষ্টই গ্রহণযোগ্য।