জমায়েত দেখে আনন্দ, কিন্তু ভোটের ফলে শূন্য! মালদহের সভায় আক্ষেপ মমতার
মালদহ (malda) তাঁর কাছে নতুন নয়। কিছু হলেই তিনি মালদহে যান। উত্তরবঙ্গের এই জেলার সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র থাকলেও, স্থানীয় মানুষ তৃণমূলকে (trinamool congress) ভোট দেন না। মালদহের জনসভায় এই আক্ষেপই করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্
মালদহ (malda) তাঁর কাছে নতুন নয়। কিছু হলেই তিনি মালদহে যান। উত্তরবঙ্গের এই জেলার সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র থাকলেও, স্থানীয় মানুষ তৃণমূলকে (trinamool congress) ভোট দেন না। মালদহের জনসভায় এই আক্ষেপই করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। ভোটের আগে তিনি ফের মালদেহ আসবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মালদহের সঙ্গে সম্পর্ক ৩০ বছরের বেশি
মালদহে দীর্ঘদিন পরে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। সেই সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন মালদহের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। একবারে বরকতদার সময় থেকে। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন সময়ে কিছু হলেই তিনি কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীদের ডাকে মালদহে ছুটে আসতেন বলে জানিয়েছেন। এদিন তিনি স্মরণ করিয়ে দেন একলাখি-বালুরঘাট রেলপ্রকল্প তাঁরই করে দেওয়া। তিনি মালদহের জন্য কতটা করেছেন, তা সাধারণ মানুষই জানেন বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জমায়েত দেখে আনন্দ, কিন্তু ভোটের ফলে শূন্য
মালদহ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুঃখ অনেকদিনের। তা এদিনের সভায় নিজের মুখেই বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেছেন, দুঃখ একটাই। জমায়েত দেখে খুবই আনন্দন হয়। মনে হয় মালদহবাসী তৃণমূলকে গ্রহণ করেছে। কিন্তু ভোটের ফলে সব পরিবর্তন হয়ে যায়। ফলাফল একেবারে শূন্য। তিনি প্রশ্ন করেন এবার মালদহ কি পাবো না। সমবেত জনগণের উত্তর হ্যাঁ। এবার তাঁকে হাত পূর্ণ করে দিতে হবে বলে সমাবেশ থেকে আব্দার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৬ সালে মালদহের ফল
২০১৬ সালের ফলাফলের নিরিখে মালদহের ১২ টি আসনের মধ্যে আটটি দখল করেছিল কংগ্রেস, দুটি পায় বামফ্রন্ট, বিজেপি একটি এবং নির্দল একটি। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক সমীকরণ অনেকটাই পরিবর্তিত হয়। নির্দলীয় বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেন। এক দুই বাম বিধায়ক বামেদের হাতছাড়া। ২০১৯-এ মালদহ উত্তর লোকসভা আসনটি দখল করে বিজেপি। নোকসভার নিরিখে মালদহে বিধানসভার অনেক আসনেই বিজেপি এগিয়ে রয়েছে।
আম ও আমসত্ব দুই-ই চাই
সারা রাজ্যের সঙ্গে মালদহবাসীও তাঁর সরকারের দেওয়া প্রকল্পগুলির উপকার পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, গত ছয়মাস ধরে বিনা পয়সায় রেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বিনাপয়সায় রেশন পেতে গেলে তৃণমূলকেই ভোট দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১ কোটি সাইকেল বিলি করা হয়েছে। আরও কুড়ি লক্ষ রেডি আছে। তা শীঘ্রই দেওয়া হবে। নিজের সরকারকে জনগণের সরকার এবং গণতান্ত্রিক সরকার বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাষণের একেবারে শেষে মমতা বলেন, এবার ফজলি আম খাওয়াবেন তো। তিনি আম ও আমসত্ব দুটোই খেতে চান বলে জানান।