মেরুকরণ-হিংসা নয়, বাংলার 'ভদ্রলোক' ভোটারদের মন জয় করতে বিজেপির হাতিয়ার কী?
বাংলার নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই হিংসা বাড়ছে রাজ্যে। কিন্তু এই হিংসার রাজনীতি কিন্তু ক্রমেই আতঙ্কিত করে তুলছে বাঙালি শহুরে 'ভদ্রলোকদের'। ঐতিহাসিক ভাবে এককালে বামফ্রন্টকে ভোট দিলেও এই হিংসার রাজনীতির জেরেই তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকে পড়ে এই শ্রেণীর ভোটাররা। আর এই নির্বাচনে এই ভদ্রলোক শ্রেণীকেই কাছে টানতে বিজেপি উন্নয়নের হাতিয়ারকে কাজে লাগাতে চাইছে।
বিজেপির হয়ে ময়দানে কোন নেতারা?
ভদ্রলোকদের কাছে টানতে বিজেপি ইতিমধ্যেই ময়দানে নামিয়েছে অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি আবার ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টরও বটে। তাছাড়াও এই ব্রিগেডে রয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত, প্রাক্তন সাংবাদিক রান্তিদেব সেনগুপ্ত, প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।
সংগঠিত হয়েছে ১৯০টির বেশি বৈঠক
এই নেতারা ৪০ জনের বুদ্ধিজীবীদের একটি দলকে পরিচালনা করছেন। ইতিমধ্যেই বিজেপির এই বুদ্ধিজীবী সেল ১৯০টির উপর বৈঠক সেরে ফেলেছে বিভিন্ন পরিসরে। তৃণমূল স্তরে গিয়ে মানুষের মন জয় করাই এই দলের লক্ষ্য। ২০২১ সালের লড়াইয়ে বিজেপি চাইছে মননশীল সমাজের কাছে দলের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে।
বিধানসভাভিত্তিক বিশিষ্টজনদের সংগঠিত করতে চাইছে বজেপি
ইতিমধ্যে বিধানসভাভিত্তিক বিশিষ্টজনদের সংগঠিত করে তাঁদের কাছে আগামীদিনে দলের ভাবনা এবং বিজেপি সরকার এলে তাদের লক্ষ্য কী হবে তা তুলে ধরার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সোনার বাংলা গড়ার অভিযানে পাড়ার মাস্টারমশাই থেকে ডাক্তারবাবু কিংবা সংস্কৃতি মনোভাবাপন্ন মানুষজন সকলকেই শামিল করতে চায় বঙ্গ বিজেপি।
'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার বাংলা তৈরি হবে বিজেপি ক্ষমতায় এলে'
রাজ্যের কোনও প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী নয়, প্রতিটা বিধানসভায় সেই এলাকার বিশিষ্টজনদের দলের প্রচারে সামনে আনার চেষ্টা করছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার বাংলা তৈরি হবে বিজেপি ক্ষমতায় এলে৷
বাংলা পুনরুদ্ধার করাই বিজেপির লক্ষ্য
এই নিয়ে রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছাতে চায় বিজেপির বুদ্ধিজীবী সেল৷ তাই 'লক্ষ্য সোনার বাংলা' নামে কর্মসূচিও গ্রহণ করেছিল বিজেপি। বিজেপির বক্তব্য, ২৯৪টি বিধানসভায় ৫০জন বুদ্ধিজীবী সদস্য সভা করে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ গড়ে তুলবে এই বিষয়ে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার বাংলা পুনরুদ্ধার করাই বিজেপির লক্ষ্য বলে জানাচ্ছে দল।