তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের চ্যালেঞ্জ, ষষ্ঠদফায় বাগদায় গুলিকাণ্ড নিয়ে নতুন করে বিতর্ক
ষষ্ঠদফার নির্বাচনের দিন বাগদায় (bagda) গুলি চালিয়েছিল রাজ্য পুলিশ (state police)। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক। বনগাঁ আদালতের (court) মধ্যে তর্কে জড়ান তদন্তকারী অফিসার। তিনি চ্যালেঞ্জ করেন বলেও অভিযোগ। যার বিরুদ্ধে বনগাঁ
ষষ্ঠদফার নির্বাচনের দিন বাগদায় (bagda) গুলি চালিয়েছিল রাজ্য পুলিশ (state police)। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক। বনগাঁ আদালতের (court) মধ্যে তর্কে জড়ান তদন্তকারী অফিসার। তিনি চ্যালেঞ্জ করেন বলেও অভিযোগ। যার বিরুদ্ধে বনগাঁ পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ বিজেপির (bjp)।
ষষ্ঠদফার দিন বাগদায় পুলিশের গুলি
ষষ্ঠদফার নির্বাচনের দিন বাগদায় গুলি চালায় রাজ্য পুলিশ। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল একটি রাজনৈতিকদলের কর্মীরা বাগদার সেক্টর অফিসে হামলা চালায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটও ছোঁড়া হয়। হামলাকারীদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল বলে দাবি করা হয়েছিল কমিশনের তরফে। হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতেই পুলিশ গুলি চালিয়েছে। দুপুর তিনটে নাগাদ ৩৫ নম্বর বুথের সামনে এই ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসীদের দাবি ছিল, তিনজন পুলিশের গুলিতে আহত। তাঁদেরই একজন হল মৃত্যুঞ্জয় সাঁতরা।
আদালতে বেঁফাস মন্তব্য
পুলিশের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল গ্রামবাসীরা পুলিশের ওপরে হামলা করেছে। সেই অভিযোগেই বৃহস্পতিবার ৫ গ্রামবাসীকে তোলা হয়েছিল বনগাঁর এসিজেএম দেবাশিস সাঁতরার এজলাসে। আদালতের মধ্যেই আইনজীবীদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তদন্তকারী পুলিশ অফিসার আসাদুর রহমান। আইনজীবীরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তদন্তকারী পুলিশ অফিসার ভরা আদালতে বলেছেন, গুলি চালিয়ে বেশ করেছেন। দরকারে আদালতের মধ্যেও চালানো হবে। চ্যালেঞ্জ করেই নাকি তিনি বলেছেন, যা করার করে নিন।
স্বতঃপ্রণোদিত মামলা বিচারকের
এই ঘটনার পরেই আইনজীবীরা বিক্ষোভে সামিল হন। তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল করেন আইনজীবীরা। পরে তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেন বিচারক। এক এক হাজার টাকার বন্ডে জামিন মান এসআই আসাদুর রহমান। বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ সুপার। যদিও সরকারি আইনজীবী বলেছেন, সম্ভবত হতাশা থেকেই মন্তব্য করেছেন ওই তদন্তকারী অফিসার। যার জেরে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয়েছে। প্রতিবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বিজেপির প্রতিবাদ
এদিন আদালতের মধ্যে পুলিশ আধিকারিকের মন্তব্যের প্রতিবাদ করে পুলিশ সুপারের অফিসে স্মারকলিপি জমা দেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁরা বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধও করেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ডের দাবিও তারা তুলেছেন। আদালতে পুলিশ আধিকারিকের হুমকির বিষয়টি রাজ্যপালের পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির সভাপতিকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে।