মমতাকে নাজেহাল করতে মোদীর দোসর শাহ! বাংলা দখলে কোনও কসুর বাকি রাখছে না বিজেপি
আবারও রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ১৫ ও ১৯ মার্চ রাজ্যে আসছেন তিনি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে দুই দিনই রাজনৈতিক জনসভা ও রোড-শো করবেন শাহ। উল্লেখ্য, ১৮ ও ২০ মার্চ রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগে থেকেই বিজেপির তরফে তা জানানো হয়েছে।
বিজেপির পাখির চোখ বাংলা
এ বার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পাখির চোখ বাংলা৷ প্রচারে ঝড় তুলে সারা বাংলা জুড়ে পদ্ম ফোটাতে কোনও কসুর বাকি রাখছে না গেরুয়া শিবির৷ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঘনঘন বাংলা সফরে আসছেন৷ সেই তালিকায় থাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও৷ মোদীর ব্রিগেড জনসমাবেশের রেশ কাটতে না-কাটতেই ফের বাংলায় আসছেন বিজেপির চাণক্য হিসেবে পরিচিত শাহ৷
রাজ্যজুড়ে ৩০টিরও বেশি জনসভা করার টার্গেট নিয়েছেন অমিত শাহ
অমিত শাহকে নির্বাচনী প্রচারে চেয়ে বিজেপির ৪০টি সাংগঠনিক জেলা থেকে রাজ্য নেতৃত্বের কাজে আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পক্ষে এতগুলি সভা করা কঠিন। তবে সূত্রের খবর, রাজ্যজুড়ে ৩০টিরও বেশি জনসভা করার টার্গেট নিয়েছেন অমিত শাহ স্বয়ং।
ফোকাসে দুই ২৪ পরগনা ও হাওড়া
বিজেপি সূত্রে খবর, দুই কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা ও হাওড়া জেলার বিজেপির সংগঠন তৃণমূলের থেকে দুর্বল। তাই অমিত শাহ এই জেলাগুলির উপরই বিশেষ ভাবে নজর দিচ্ছেন। যদিও বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং বলেছেন, 'অমিত শাহের দফতর থেকে ১৫ ও ১৯ মার্চ তাঁর রাজ্যে আসার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে তিনি কোন জেলায় যাবেন, কী কী কর্মসূচিতে অংশ নেবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি৷'
বিজেপির রণকৌশল
বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির কী কৌশল হবে তা প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড জনসভা থেকে প্রায় ঠিক হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে মোদীকে সামনে রেখে বাংলা দখল করতে চায় বিজেপি। আর ব্রিগেডে জনসভা করার বড় চ্যালেঞ্জে পাশ করে বিজেপির লক্ষ্য সেই বাঙালিয়ানাকেই সম্বল করা। এদিকে মোদীর পাশাপাশি অমিত শাহকেও প্রচারে চাইছে বিজেপি নেতারা। এর আগে মার্তের ২-৩ তারিখ রাজ্যে আসার কথা থাকলেও মোদীর ব্রিগেডের উপর ফোকাস করতে সেই সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
চাণক্যের ছক
রবিবার ব্রিগেডের ভিড় দেখে নরেন্দ্র মোদী যে আপ্লুত হয়েছিলেন, তা বক্তৃতার শুরুতেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি৷ তাঁর রাজনৈতিক জীবনে যে এত ভিড় তিনি দেখেননি, সেই কথাও অকপটে জানান মোদী৷ তার পর এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তিনি বক্তৃতা দেন৷ বিভিন্ন ইস্যু ছুঁয়ে যান৷ যার বেশির ভাগটাতেই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারকে আক্রমণ৷ সেই ঝাঁঝ বজায় রেখেই বিজেপি এগিয়ে যেতে চলেছে বলে রাজনৈতিক মহলের মত। সেই পথে হেঁটেই অমিত শাহ বঙ্গ জয়ের ছক কষতে পারেন।