আগে পাঠানো করোনার ভ্যাকসিন কোথায়, 'হিসেব' দিয়ে মোদীকে দেওয়া চিঠি নিয়ে মমতাকে নিশানা বিজেপির
চাল চোর, ত্রিপল চোর, আম্ফানের টাকা চোরের সঙ্গে ভ্যাকসিন চোর তৃণমূল। বিজেপি (bjp) নেতারা সভা সমাবেশে প্রায়ই এই অভিযোগ করে থাকেন। এবার মোদী সরকারের পাঠানো ভ্যাকসিন ( corona vaccine) কেন ব্যবহার করা হচ্ছে না, তা নিয়
চাল চোর, ত্রিপল চোর, আম্ফানের টাকা চোরের সঙ্গে ভ্যাকসিন চোর তৃণমূল। বিজেপি (bjp) নেতারা সভা সমাবেশে প্রায়ই এই অভিযোগ করে থাকেন। এবার মোদী সরকারের পাঠানো ভ্যাকসিন ( corona vaccine) কেন ব্যবহার করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিজেপি। প্রসঙ্গত এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) প্রধানমন্ত্রী মোদীকে (narendra modi) চিঠি লিখে বলেছিলেন, ভোটের আগে রাজ্য সরকার সবার ভ্যাকসিনের বন্দোবস্ত করতে চায়। তার অনুমতি দেওয়া হোক। এবার তারই পাল্টা দিল বিজেপি।
ভিন্ন 'পথে' রূপা, রাকেশ সিংকে নিয়ে দ্বিমতে 'জেরবার' বিজেপি
টিকা নিয়ে মোদীকে চিঠি মমতার
এদিন রাজ্যে টিকাকরণের কাজ ভোটের আগে দ্রুত করতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ভোটের কথা মাথায় রেখেই বিনামূল্যে যাতে রাজ্যবাসীকে টিকা দেওয়া যায়, তা করতে প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি থেকে থেকে টিকা কিনতে চায় রাজ্য সরকার। সেই অনুমতি দেওয়া হোক। একদিকে যেমন ভোটকর্মীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে, ঠিক তেমনই টিকা নিয়েই ভোটাররা বুথে যাবেন। তা না হলে সাধারণ মানুষ টিকা না নিয়ে ভয়ে বুথে যেতে বাধ্য হবেন।
পাল্টা পরিসংখ্যান বিজেপির
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান তথা এই রাজ্যে ভোটে বিজেপির অন্যতম কাণ্ডারি অমিত মালব্য এদিন পরিসংখ্যান তুলে ধরে পাল্টা আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সারা দেশে টিকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরুতে স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের টিকা দেওয়া হয়। এই মুহুর্তে রাজ্যে পুলিশকর্মীদের টিকা দেওয়ার কাজ চলছে। অমিত মালব্য পরিসংখ্যাল তুলে ধরে বলেছেন, ২২,৫১, ৮০০ কোভিশিল্ড এবং ৪,৯৭, ৭৬০ ডোজ কোভ্যাক্সিন রাজ্যে পাঠিয়েছে মোদী সরকার। এর মধ্যে মাত্র ৮,২৬, ২৯০ (৩৬.৭%) কোভিশিল্ড এবং এবং ৬৩, ৩৮০ (১২.৭%) কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করা হয়েছে। অতিরিক্ত ৭,৩৮,০০০ কোভিশিল্ড এবং ৩,৭৫, ৮৪০ কোভ্যাক্সিন রাজ্যে পথে রয়েছে।
ঘৃণ্য রাজনীতির অভিযোগ
প্রধানমন্ত্রীকে যে চিঠি মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছেন, তাতে ঘৃণ্য রাজনীতি প্রকাশ পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অমিত মালব্য। তাঁর মতে রাজ্যে পাঠানো অর্ধেক ভ্যাকসিন রাজ্য সরকার দিয়ে উঠতে পারেনি, ব্যবহার করতে পারেনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী চিঠি পাঠানোর পরেই রাজ্য বিজেপির তরফে বলা হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর নজর এখন স্বাস্থ্যে নয়, তিনি রাজনীতি করতে চাইছেন টিকা নিয়ে।
টিকা চোর তৃণমূল
১৬ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে টিকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে। তাতে শুরু থেকেই দেখা গিয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই ফ্রন্টলাইনার করোনা যোদ্ধাদের তালিকায় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নাম। তাঁরা করোনার টিকা নিতেও শুরু করেছেন। যা নিয়ে কটাক্ষ শুরু করে বিজেপি। তারা অভিযোগ করে, মোদীর পাঠানো চাল চুরি, আম্ফানের ত্রাণ চুরির পর এবার তৃণমূল টিকা চুরি করতেও শুরু করেছে।