অষ্টমদফায় ভাল ফলের আশায় বিজেপি, শুক্রবারেই রিপোর্ট যাচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে
অষ্টমদফায় ভাল ফলের আশায় বিজেপি, শুক্রবারেই রিপোর্ট যাচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে
রাজ্যের অষ্টমদফার নির্বাচন শেষ হওয়ার মুখে। এরপর বিভিন্ন জেলার বুথ সভাপতি এবং মণ্ডল কমিটি থেকে রিপোর্ট পেলে তা নিয়ে বৈঠক করবে রাজ্য বিজেপি (bjp) নেতৃত্ব। এদিন ভোটের পরে বুথ ফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট (exit poll result) যাই হোক না কেন, বিজেপির তরফে নিজেদের রিপোর্ট শুক্রবার পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে।
বিজেপির শীর্ষ নেতাদের দাবি ২০০ পার
ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সবাই দাবি করেছেন এবার বিজেপির ২০০ পার। সেই মতো রাজ্যের নেতারাও স্বাভাবিকভাবেই প্রচারে সেই কথা তুলে ধরেছেন। ষষ্ঠদফার নির্বাচনের পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ছয়দফায় বিজেপি ১৬০ টি আসন পেয়ে গিয়েছে। বাকি দুই দফায় তারা ২০০ আসন পার করে দেবেন।
জমা পড়েছে অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট
প্রত্যেকটি দফার ভোটের পরেই রাজ্য বিজেপির তরফে অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। অষ্টমদফার পরেও সেই রিপোর্ট জমা পড়বে শুক্রবার। তবে চূড়ান্ত সংখ্যা নিয়ে বিজেপি নেতারা এখনই কিছু বলতে নারাজ। তবে অষ্টমদফার চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এব্যাপারে কিছু বলা সম্ভব হবে।
পঞ্চায়েত ভোটের মতো ছক করেছিল তৃণমূল, কেন্দ্রীয় বাহিনী তা বানচাল করেছে, ভোট দিয়ে নিশানা অধীরের
অষ্টমদফার বিজেপির সম্ভাব্য ফল
এদিন ৪ জেলায় ৩৫ আসনে নির্বাচন সম্পন্ন হল। সামনে বিজেপি দাবি করছে এই আসনগুলির একটা বড় অংশই তাদের দখলে আসবে। কেননা জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের মতো জেলা। রয়েছে বীরভূমও। যেই কারণেই হততো বোলপুরের ইলামবাজারে নিজের গাড়িতে হামলার পরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে রিগিং-এর অভিযোগ না তুলে বিজেপি প্রার্থী অনির্বান গাঙ্গুলি নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে এদিন বিকেলে নির্বাচন কমিশনে যাওয়া শিশির বাজোরিয়াকেও বলতে শএানা গিয়েছে শীতলকুচির ঘটনা বাদ দিলে রাজ্যের নির্বাচন প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণই।
গত বিধানসভা ও লোকসভায় ফল
গত বিধানসভা নির্বাচনে এই ৩৫ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ১৭ টি আসনে। অন্।যদিকে বামেরা ৩ টি, কংগ্রেস ১৩ টি এবং জোট সমর্থিত নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে পরিস্থিতি পুরোটাই বদলে যায়। বিধানসভার নিরিখে তৃণমূল ১৯ টি আর বিজেপি ১১ টিতে এগিয়ে ছিল। কংগ্রেস এগিয়েছিল ৫ টিতে।