তৃণমূলের 'পথে'ই বিজেপি, খসড়া ইস্তেহারে একাধিক সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি
রাজ্যের কোনও দলই এখনও প্রার্থী তালিকা (candidate list) প্রকাশ করতে পারেনি। বাদ রয়েছে নির্বাচনী ইস্তেহার (manifesto) প্রকাশও। এই পরিস্থিতিতে ইস্তেহারের খসড়া তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির (bjp)। বাংল
রাজ্যের কোনও দলই এখনও প্রার্থী তালিকা (candidate list) প্রকাশ করতে পারেনি। বাদ রয়েছে নির্বাচনী ইস্তেহার (manifesto) প্রকাশও। এই পরিস্থিতিতে ইস্তেহারের খসড়া তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির (bjp)। বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার মতো অনেক ক্ষেত্রেই তারা তৃণমূলের (trinamool congress) দাবিতেই তাল মেলাতে চলেছে তারা। যা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা
বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিতে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র সেই দাবিতে সায় না দিলেও, কার্যত তৃণমূলের রাস্তাতেই হাঁটতে চলেছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। তাদের খসড়া ইস্তেহারে বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ভোটের আগে তৃণমূল বিজেপিকে লক্ষ্য করে বহিরাগতের আওয়াজ তুলেছে। তাদেরকে বাংলা ও বাঙালি বিরোধীও বলা হচ্ছে। তারই পাল্টা হিসেবে বিজেপির এই প্রতিশ্রুতি বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে থাকতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকে।
জমি নীতিতেও তৃণমূলকে অনুসরণ
গত ১০ বছরে তৃণমূলের শাসনে রাজ্যে বড় কোনও শিল্প আসেনি। তার ওপরে সিঙ্গুরের জমি কৃষকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জমি নিয়ে বিজেপির ইস্তেহারে কার্যত তৃণমূলকে অনুসরণ করা হয়েছে। বলা হয়েছে জোর করে জমি নেওয়া হবে না। পরিবর্তে পড়ে থাকা জমি এবং বন্ধ কারখানার জমি শিল্পের জন্য ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতি থাকতে চলেছে ইস্তেহারে। পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে ৬ টি শিল্প পার্ক গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে খসড়া ইস্তেহারে।
থাকছে এসএসসি, পিটিটিআই নিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি
রাজ্যে যুবক, যুবতীরা এসএসসি, পিটিটিআই নিয়ে সমস্যায় জেরবার। বারবার তারা অন্য বিরোধীদের মতোই প্যারা টিচার-সহ অন্য শিক্ষকদের বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। সেইসব বিষয়ও বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে থাকতে চলেছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সপ্তম বেতম কমিশন অনুসরণ, নিয়মিত নিয়োগের পরীক্ষা গ্রহণ-সহ একাধিক সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সিএএ, শিক্ষানীতি নিয়ে কড়া অবস্থান
অমিত শাহ ঠাকুরনগরের সভায় আশ্বাস দিয়েছিলেন সারা দেশে করোনার ভ্যাক্সিনেশনের কাজ শেষ হওয়ার পরেই সিএএ লাগু করা হবে। এই প্রসঙ্গ রাখা হয়েছে খসড়া ইস্তেহারে। সেখানে বলা হয়েছে একদিকে যেমন সিএএ চালু করা হবে, অন্যদিকে রাজ্যে জাতীয় শিক্ষানীতিও চালু করা হবে। যেখানে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সংস্কৃত বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি ইতিহাস সংশোধন করার প্রস্তাবও রয়েছে এই খসড়া ইস্তেহারে।
মানুষের মতামত নিয়েই চূড়ান্ত ইস্তেহার প্রকাশ
বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের নেতৃত্বে ইস্তেহার কমিটি কাজ করছে। খসড়া ইস্তেহার তৈরি করা হলেও, রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রে মানুষের মতামত সংগ্রহ করছে গেরুয়া শিবির। রথে চড়ে জনমত সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই মত এক জায়গায় করে খসড়া ইস্তেহার সংশোধন এবং পরিমার্জন করে তা প্রকাশ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।