মৃত্যুর দায় তৃণমূল প্রশাসনের, রেলের বহুতলে অগ্নিকাণ্ডে মমতার সরকারকে নিশানা বিজেপির
স্ট্র্যান্ড রোড অগ্নিকাণ্ডে জড়িয়ে গেল রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) সোমবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেছিলেন তিনি এই ঘটনায় রাজনীতিকে জড়াতে চান না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে বিজেপির (bjp) তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, আরও একবার উদাসীনতার বলি হল সাধারণ মানুষ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মিলল রেহাই, ভোটের আগে স্বস্তিতে বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ

অমিত মালব্যের নিশানায় মমতার সরকার
এদিন সকালে স্ট্র্যান্ড রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিয়ে টুইট করেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। তিনি সেখানে বলেছেন, আরও একবার রাজ্যের উদাসীনতার বলি সাধারণ মানুষ। তিনি বলেছেন, ২০১০ সালের মার্চ মাসে পার্ক স্ট্রিট অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি অগ্নিনির্বাপক পরিকাঠামোর এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রটোকলকে দায়ী করেছিলেন বিরোধী নেত্রী বহিসেবে। কিন্তু কিন্তু ১০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও কোনো উন্নতি ঘটেনি অগ্নি সুরক্ষা পরিস্থিতির।

পিসি বাংলায় ব্যর্থ
অপর একটি টুইটে তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে একটি অতি সক্রিয় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট নীতি, স্থানীয় মানুষদের সহায়তা, পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রাদি এগুলি সুসজ্জিত ভাবে করা দরকার। একটি স্বচ্ছ এবং সুদক্ষ নীতি এবং বহুতলগুলির অগ্নি ব্যবস্থাপনা শংসাপত্র দরকার।

দমকলের ল্যাডার আসতে দেরি
এদিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মুকুল রায়, স্বপন দাশগুপ্ত এবং শিশির বাজোরিয়ার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিজেপি প্রতিনিধি দল। তাঁরা সেখানে আগুন নেভানোর কাজে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন। দমকল দেরি আসার অভিযোগও করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ল্যাডার প্রথমে কেন ছিল না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতারা। পাশাপাশি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তেরও দাবি করেছেন তাঁরা।

সরব অগ্নিমিত্রা পাল
এদিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও। তিনি বলেন সবাই জানেন আগুন লাগলে কিংবা ভূমিকম্প হলে লিফট ব্যবহার করতে নেই। তাহলে কেন দমকলকর্মীরা লিফট ব্যবহার করতে গেলেন। কেন তাঁদের পর্যান্ত প্রশিক্ষণ থাকবে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেত্রী। তাহলে কি প্রশাসনিক কাজে তৃণমূলের ক্যাডার ঢোকাতে গিয়ে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ হয়নি, সেই কটাক্ষও করেছেন তিনি। দমকলে কেন জল থাকবে না, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অন্যদিকে, এই একই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি নেতা অনির্বান গাঙ্গুলি। তিনি বলেছেন কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াও অস্থায়ী কর্মীদের আগুন নেভানোর কাজে লাগানো হয়েছে। কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলকে দোষারোপ করছেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

অসহযোগিতার অভিযোগ করেছিলেন মমতা, পাল্টা গোয়েল
সোমবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন বিল্ডিং-এর ম্যাপ চেয়েও পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে রেলের পদস্থ আধিকারিকরা ছিলেন না বলেও অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এর জবাব দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারসহ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে থেকে সাহায্য করেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন তিনি।