ফলাফল প্রকাশের আগের দিনও বিশ্লেষণ, কত আসন ও কীভাবে জয়, ব্যাখ্যা বিজেপির অন্দরমহলে
ফলাফল প্রকাশের আগের দিনও বিশ্লেষণ, কত আসন ও কীভাবে জয়, ব্যাখ্যা বিজেপির অন্দরমহলে
বুথ ফেরত সমীক্ষায় আশার আলো দেখতে পাচ্ছে বিজেপি (bjp)। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই তারা বাংলায় প্রথমবারের ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে আশাবাদী। এব্যাপারে লোকসভা ভোটের মতোই মোদী ম্যাজিক কাজ করবে বলেই মনে করছে তারা। আর রাজ্যের আসনের সংখ্যাটা দুশোর কাছাকাঠি পৌঁছে যেতে পারে বলেও মনে করছে গেরুয়া শিবির।
লোকসভা নির্বাচনে দাবি আর প্রাপ্ত আসন
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটি প্রচার চালিয়েছিলেন সারা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও। সেই নির্বাচনে অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, বিজেপি রাজ্যে ২৩ টি আসনে জয়ী হবে। তৃণমূল সেই দাবি উড়িয়েছিল। অনেকেই অমিত শাহের দাবি নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তবে তারই মধ্যে অমিত শাহ পেয়ে গিয়েছিলেন মুকুল রায় নামক সেনাপতিকে। তিনিই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন বাড়াতে অনেকটাই সাহায্য করেছিলেন। ফলা ফলে দেখা গিয়েছিল বিজেপি ১৮ টি আসনে জয়ী হয়েছে। দাবি আর ফলাফলে মধ্যে খুব বেশি একটা ফারাক ছিল না।
লোকসভার মতো বিধানসভাতেও মোদী ম্যাজিক
নরেন্দ্র মোদী বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ২০ টি সভা করেছেন। আর সঙ্গে ছিল আরও একটি ভার্চুয়াল সভা। যা ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করা হিসেব। আর যদি তা ৭ মার্চ ব্রিগেডের পরের সভা ধরা হয়, তাহলে সংখ্যাটি হয় ১৮। যা কোনও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে করা রেকর্ড। কেননা এইবার যে পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন হচ্ছে, তার মধ্যে বাংলাতেই এত সংখ্যক সভা করেছেন মোদী। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে মোদী, রাজ্যে সভা করেছিলেন ১৭ টি।
সভার ফল ভোটবাক্সে, দাবি বিজেপির
বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরা যে সভা পশ্চিমবঙ্গে করেছেন, তার প্রভাব এবারের ভোট বাক্সে পড়েছে। মোদী-শাহ ছাড়াও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতো নেতারাই সভা, রোড শো করেছেন। যা বিজেপিকে ভাল ফলের দিকেই নিয়ে যাবে বলেই মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা।
মুখ মোদী, ছিল না মুখ্যমন্ত্রীর মুখ
তৃণমূলের তরফে বারেবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ সামনে তুলে ধরে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। তাতে কিন্তু সাড়া দেয়নি গেরুয়া শিবির। তারা মোদীকে মুখ হিসেবে ধরে নিয়ে প্রচার চালিয়ে গিয়েছে। সেসব সভা মোদী করেছেন, সেগুলিতে জনতা উদ্বেলিত হয়েছে। অধিকাংশ জায়গায় বুথ সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে তারা। ফলে জয় আসবেই, গণনার আগের দিনও বলছে গেরুয়া শিবির।