বিমল গুরুং শিবিরে বড় ভাঙন, বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা দলত্যাগীদের
২০২১-এর ভোটের আগে পাহাড়ে বিমল গুরুং (bimal gurung) শিবিরে বড় ধাক্কা। দলের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়কারী শুভা প্রধান দলের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। কালিম্পং-এ দলের আরও ১১ জন নেতাও দল থেকে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন। শুভা
২০২১-এর ভোটের আগে পাহাড়ে বিমল গুরুং (bimal gurung) শিবিরে বড় ধাক্কা। দলের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়কারী শুভা প্রধান দলের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। কালিম্পং-এ দলের আরও ১১ জন নেতাও দল থেকে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন। শুভা প্রধান বিজেপিতে (bjp) যোগদানের ইঙ্গিত করেছেন।
গুরুংকে নিশানা
পদত্যাগের পরে গুরুংকে নিশানা করে শুভা প্রধান বলেছেন, তিনি মনে করেন, আসল ইস্যুকেই (আলাদা রাজ্য) পিছনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেননা তিনবছর পরে বিমল গুরুং ফিরলেও, পাহাড়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতিই ধোঁয়াশায় রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত অক্টোবরে গুরুং বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃণমূলের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। কেননা গুরুং-এর অভিযোগ ছিল বিজেপি পাহাড়কে গুরুত্ব দিচ্ছে না। শুভা প্রধান বলেছেন, বিজেপির তাঁদের ইস্তেহারে প্রধান সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়েছে। প্রধান বলেছেন, তিনি বিজেপিকেই বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে চাইছেন। তবে তিনি জানেন না, বিজেপি তাঁকে নিয়ে কী ভাবছে।
দল ছেড়েছেন যাঁরা
শুভা প্রধান ছাড়াও যাঁরা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছেড়েছেন, তাঁরা হলেন, জিটিএ সদস্য এবং কালিম্পং জেলা কমিটির সহ সভাপতি গোপাল রুচাল, কালিম্পং-এর নেতা সঙ্গে ভুটিয়া, জ্ঞানবাহাদুর ছেত্রী, হরি শর্মা এবং দার্জিলিং-এর তিল ছেত্রী। অন্যদিকে গুরুং ক্যাম্পের তরফে বলা হয়েছে, তারা সরকারিভাবে কোনও পদত্যাগপত্র পায়নি। সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই তাঁরা এই কথা জানতে পেরেছেন। গুরুং শিবিরের মুখপাত্র অনিল লোপচান বলেছেন, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জন্ম হয়েছিল গোর্খাল্যান্ডের জন্য। যা কিনা তাদের পরিচয় এবং আঞ্চলিক সমস্যার সঙ্গে জড়িয়েছ। তবে বিমল গুরুং শিবির থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বিজেপি তাদের দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে।
আগেও গুরুং শিবিরে ভাঙন
সাম্প্রতিক সময়ে গুরুং শিবিরে আরও ভাঙন দেখা গিয়েছে। তাঁরা সবাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন দলের সব সভাপতি কল্যাণ দেওয়ান। বর্তমানে যিনি বিজেপির পাহাড় শাখার সভাপতি। এছাড়াও সেই তালিকায় ছিলেন প্রাক্তন জিটিএ সদস্য তিলক চাঁদ রোকা এবং প্রাক্তন মুখপাত্র বিপি বাজগাঁই। এছাড়াও সেই তালিকায় ছিলেন গুরুং-এর রাজনৈতিক পরামর্শদাতা স্বরাজ থাপা, শঙ্ক অধিকারীর মতো নেতা। সেই সময় সায়ন্তন বসু বলেছিলেন পাহাড়ে আরও বড় যোগদান শিবির হবে।
তিন আসনে এখনও প্রার্থী ঠিক করতে পারেনি মোর্চার দুই গোষ্ঠী
পাহাড়ের তিন আসনে এখনও প্রার্থী ঠিক করে উঠতে পারেনি মোর্চার দুই শিবির অর্থাৎ বিমল গুরুং এবং বিনয় তামাংরা। তবে তিন আসনেই তারা প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছে বিনয় তামাং গোষ্ঠী।
কয়লা কাণ্ডের তদন্তে চাপ বাড়াচ্ছে সিবিআই, অভিষেকের আরও আত্মীয়দের তলব