তৃণমূলের বাংলা জয়ে কাঁটা দিতে পরিকল্পনা ওয়েইসির, ভাগ করে দিলেন দায়িত্ব
তৃণমূলের বাংলা জয়ে কাঁটা দিতে পরিকল্পনা ওয়েইসির, ভাগ করে দিলেন দায়িত্ব
একাধিক ওপিনিয়ন পোলে তৃণমূলের (trinamool congress) জয়ের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এখনও যাদের কথা বলা হয়নি তারা হল ওয়েইসির (asaduddin owaisi) মিম (aimim)। এবারের নির্বাচনে তারা কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে। তা বিহারের (bihar) আরজেডির মতো তৃণমূলের জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে নাতো। ইতিমধ্যেই দলের নেতাদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন ওয়েইসি।
ওয়েইসির দলে বাংলার কোন জায়গার দায়িত্বে কে
বিহারের অমর-এর বিধায়ক তথা মিম-এর বিহার শাখার প্রধান আখতারুল ইমাম এবং বিহারের যুব সভাপতি আদিল হাসানকে যথাক্রমে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং নদিয়া জেলার দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন। জোকিহাটের বিধায়ক মহঃ শাহনওয়াজ এবং কোচাদামানের বিধায়ক ইজহার আসফিকে দলের নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে যথাক্রমে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। এছাড়াও বাহাদুরগঞ্জের বিধায়ক আনজার নইমি এবং বিয়াসির বিধায়ক সৈয়দ আহমেদ মালদা জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ওয়েইসি নিজেই যোগ দেবেন সভায়
প্রথম তিন দফা নিয়ে সেরকম কোনও পরিকল্পনা নেই মিমের। তবে চতুর্থ থেকে অষ্টম দফাকে টার্গেট করেছে মিম। তবে অনুমতি না পাওয়ায় কলকাতায় ওয়েইসির প্রথম মেগা সভা বাতিল করে দিতে হয়েছিল নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে।
বহু আসনে মুসলিমরাই সিদ্ধান্ত নেবেন
রাজ্যে এমন বহু আসন রয়েছে যেখানে মুসলিমরাই প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণে বড় সিদ্ধান্ত নেবেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের নির্বাচনী যুদ্ধে ওয়েইসি এবং আব্বাসের প্রবেশে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অপেক্ষার পক্ষপাতি। এমনও হতে পারে বেশ কিছু আসনে ওয়েইসির মিমি এবং আব্বাসের আইএসএফ-এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।
ভোট ভাগে বিজেপির সুবিধা
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মুসলিম ভোট বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ, তৃণমূল কংগ্রেস এবং মিম-এর মধ্যে যদি ভাগ হয়, তাহলে তার সুবিধা পাবে বিজেপি। কেননা তারা ইতিমধ্যেই টার্গেট করেছে ২০০ আসন। ২০১৯-এর লোকসভা আসনে ৪২ টি আসনের মধ্যে ২২ টি আসন টার্গেট করে ১৮ টিতে জয়লাভ করেছিল।
মিম কি বিজেপির বি টিম
বিজেপির রাজনৈতিক বিরোধীরা মিমকে বিজেপির বি টিম বলেই মন্তব্য করেন। যা নিয়ে মিমের দাবি, তারা গরিব, তস্য গরিবের উন্নতির জন্য কাজ করেন। তারা সকলের সমানাধিকারের জন্য লড়াই করেন। দাবি করা হয়েছে মিমের তরফে। তবে মিমের তরফে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে তারা এমন সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, যেখানে সংখ্যালঘু ভোটের বিভাজন বিজেপিকে কোনওভাবেই সুবিধা দেবে না। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আইএসএফ-এর প্রার্থী তালিকা দেখে, এআইএমআইএম রাজ্যে অন্তত ২০ টি আসনে প্রার্থী দিতে পারে।
শুভেন্দুকে হারাতে জনসংযোগই ভরসা মমতার, নন্দীগ্রাম চষে বেড়ানোর পরিকল্পনা