মাননীয়া মৃত্যু উপহার দিয়েছেন, নবান্ন অভিযানে মৃত মইদুলের মৃত্যুতে সোচ্চার শ্রীলেখা, অনীক, কমলেশ্বররা
মাননীয়া মৃত্যু উপহার দিয়েছেন, নবান্ন অভিযানে মৃত মইদুলের মৃত্যুতে সোচ্চার শ্রীলেখা, অনীক, কমলেশ্বররা
এদিন সকালে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে, ১১ ফেব্রুয়ারি বাম ছাত্র-যুবদের নবান্ন অভিযানে (nabanna) অংশ নেওয়া বাঁকুড়ার যুব নেতা (dyfi) মইদুল ইসলাম মিদ্দার। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হয়েছেন, পরিচালক অনীক দত্ত থেকে শুরু করে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের মতো অনেকেই।
পরিচালক অনীক দত্তের প্রতিক্রিয়া
এদিন
বাম
যুব
নেতা
মইদুল
ইসলাম
মিদ্দার
মৃত্যুর
খবর
ছড়িয়ে
পড়তেই
অনেকেই
সোশ্যাল
মিডিয়ায়
সেই
খবর
দেন।
প্রথমে
একাধিক
কমেন্টস
তিনি
শেয়ার
করেন।
তারপর
তিনি
এনিয়ে
সর্বস্তরে
প্রতিবাদের
পক্ষে
মত
প্রকাশ
করেন।
এরপর
তিনি
মন্তব্য
করেন,
তৃণমূলের
নেতাদের
নিষ্ঠুরতা
ও
অসংবেদনশীলতা,
আর
নাগরিকদের
একটি
অংশের
অসামান্যতা
এবং
নির্লজ্জতা
দেখে
তিনি
অবাক
হননি।
কটাক্ষ
করে
তিনি
লিখেছেন,
সুখ
হলো।
বুক
জুড়ালো।
মাথা
আর
কোমর
টিপ
করে
লাঠির
বাড়িতে
ছেলেমেয়েদের
হাড়ের
দফারফা
করেছি
।
কিন্তু
মন
ভরেনি।
এতক্ষণে
মন
ভালো
হল।
মইদুল
নিথর
হল
আজ।
কাল
সুদীপ্ত
আজ
মইদুল।
এভাবেই
মাথা
উ়চু
করে
ব়াঁচতে
চাওয়ার
অধিকার
কেড়ে
নেব
আমরা।
এই
আমাদের
খেলা।
কবিতার
ভাষায়
তিনি
লিখছেন,
এখনও
যারা
চুপ
করে
আছে,
ন্যাকা
কবিতায়
বুঁদ
হয়ে
আছে
বজ্রপাত
হোক
তাদের
মাথায়!!
নগরে
লাগিলে
আগুন
দেবালয়
কি
কভু
রক্ষা
পায়!
এখনও
যারা
চুপ
করে
আছো।
তৃণমূলের
নাম
না
করে
তিনি
বলেছেন,
যাঁরা
লেসার
ইভিলকে
ভোট
দিতে
বলেছিলেন,
তাঁরা
আজ
কিছু
বলুন।
তার
পরের
পোস্টেই
তিনি
বলেছেন,
মাননীয়া
মৃত্যু
উপহার
দিয়েছেন।
কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া
সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ও। তিনি লিখেছেন, ছাত্র যুবদের নবান্ন অভিযানে সরকারের ভাড়াটে গুন্ডাদের (পুলিশের) লাঠির ঘায়ে যুবক ফরিদ মিদ্যা শহীদ হলেন । যাঁরা রাজনীতিকে 'খেলা' মনে করছেন, তাঁদের উপরি রোজগার আছে। তাঁরা জানেন না যে বেকারত্বের জ্বালা, প্রতিবাদের মিছিল আর শহীদের মৃত্যু - এর কোনোটাই কিন্তু ছেলেখেলা নয় । নিঃস্ব জনগণ সে কথা জানেন । তাঁরাই সময়মতো এই অন্যায়ের জবাব দেবেন ।
শ্রীলেখা মিত্রের প্রতিক্রিয়া
প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র মৃত নেতা কমরেড বলে সম্বোধন করেছেন। তিনি লিখেছেন, কমরেড মনসুর কমরেড মনসুর আলী মিদ্দ্যা পুলিশের হাতে ধোলাই খেয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন । পরিবারের প্রতি সমবেদনা । অনেক হয়েছে এই নৃশংসতা, জেগে উঠার সময় হয়েছে বন্ধুরা । সবার মূল্যবান জীবন বৃথা যেতে নেই ।
সোমবার সকালে হাসপাতালে মৃত্যু
১১ ফেব্রুয়ারির নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে বাঁকুড়ার কোতুলপুর থেকে এসেছিলেন মইদুল। ৩১ বছর বয়সী মইদুল পেশায় অটোচালক। এলাকায় দক্ষ সংগঠক বলে পরিচিত মইদুল বাঁকুড়ার গোপীনাথপুর ডিওয়াইএফআই ইউনিটের সম্পাদক ছিলেন। পুলিশের লাঠির ঘায়ে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁর অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।