অসমে গিয়েও ফিরলেন কলকাতায়, গভীর রাতে নাড্ডাকে নিয়ে জরুরি বৈঠকে অমিত শাহ
প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়ছে রাজ্য বিজেপির (bjp) সদর দফতরে। সেই পরিস্থিতি কলকাতায় জরুরি বৈঠক সারলেন অমিত শাহ (amit shah)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে হওয়া এই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপির
প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়ছে রাজ্য বিজেপির (bjp) সদর দফতরে। সেই পরিস্থিতি কলকাতায় জরুরি বৈঠক সারলেন অমিত শাহ (amit shah)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে হওয়া এই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (jp nadda)। ছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বও।
অসমে গিয়েও শাহ ফিরলেন কলকাতায়
সোমবার দিনের শুরুতে ছিল হেলিকপ্টার বিভ্রাট। অমিত শাহ ঝাড়গ্রামের সভা হাজির হতে না পারলেও ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন। তারপর দেরি হলেও বাঁকুড়ার রানিবাঁধে পৌঁছন। সেখানে উপস্থিত জনতার কাছে দেরি পৌঁছনোর জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। এরপর পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই তিনি চলে যান অসমে। সেখানে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন এমন কী জনসভায় ভাষণও দেন। সেখান থেকে তাঁর দিল্লি ফিলে যাওয়ার কথা থাকলেও, পশ্চিমবঙ্গে দলের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই সূচি বদলে যায়। তিনি রাতে কলকাতায় ফেরেন।
রাতে কলকাতায় জরুরি বৈঠক
কলকাতায় ফিরেই পাঁচতারা হোটেলে জরুরি বৈঠক করেন অমিত শাহ। তারই মধ্যেই কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনিও ওই বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে অংশ নেন রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। সূত্রের খবর অনুযায়ী বৈঠকে উঠে আসে প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিক্ষোভের কথা। বৈঠকে ভোটের প্রস্তুতি ছাড়াও প্রচারের রূপরেখাও ঠিক করে দেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা। এরপর এদিন ভোরেই তিনি দিল্লি ফিরে যান।
রাজ্যে প্রচারে জেপি নাড্ডা
জেপি নাড্ডা এদিন যাচ্ছেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। কুমারী টকিজ সংলগ্ন মাঠে হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। সেখানে পদযাত্রায় অংশ নেবেন তিনি। ইতিমধ্যেই সেই কর্মসূচির প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন বিষ্ণুপুরে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান। এদিন রাজ্যে প্রচারে আসছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও।
প্রার্থী নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ
এদিকে সোমবার প্রায় সারাদিন ধরেই বিজেপির প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভ চলে বিভিন্ন জায়গায়। সব থেকে বড় বিক্ষোভটি হয় হেস্টিংসে বিজেপির পার্টি অফিসকে ঘিরে। সেখানে বিক্ষোভের মুখে পড়েন, শিবপ্রকাশ, মুকুল রায়ের মতো কেন্দ্রীয় নেতারা। অর্জুন সিং জানিয়েছেন, যেসব জায়গার কর্মীরা প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তার রিপোর্ট বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠানা হয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি-সহ একাধিক আসন এবং হুগলির উত্তরপাড়া-সহ একাধিক আসনের প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভ দেখান সেখানকার স্থানীয় বিজেপি-নেতা-কর্মীরা। এরা সবাই এলাকায় আদি বিজেপি বলেই পরিচিত।