মমতার দেওয়া চাকরিপ্রাপ্তদের হিসেবের 'ফারাক' ধরলেন অধীর, আদি গঙ্গায় জল শুকনোর 'কারণ' ব্যাখ্যা
রাজ্যে কর্মসংস্থানের (employment) ব্যবস্থা করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) দাবিকে কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (adhir chowdhury)। এদিন তিনি বলেছেন, আদিগঙ্গায় জল কেন শুকি
রাজ্যে কর্মসংস্থানের (employment) ব্যবস্থা করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) দাবিকে কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (adhir chowdhury)। এদিন আলিমুদ্দিনে তিনি বলেছেন, আদিগঙ্গায় জল কেন শুকিয়ে যাচ্ছে এখন তিনি বুধতে পারছেন। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, তাঁর কার্যকালে দেড় থেকে দুকোটি মানুষের চাকরির বন্দোবস্ত করেছে সরকার।
ভোট ঘোষণা কালে 'বেসামাল' তৃণমূল, একের পর এক নেতার প্রার্থীপদ ঘোষণা
হুগলির সভায় মুখ্যমন্ত্রীর দাবি
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী,গত বুধবার হুগলির সাহাগঞ্জের সভায় মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, তাঁর এই কার্যকালে দেড় থেকে দুকোটি মানুষের কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত করেছে সরকার। দিন কয়েক আগে একই মাঠে করা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া ভাষণকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছিলেন মিথ্যা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলায় ৪০ শতাংশ দারিদ্র কমার দাবি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন তাঁর সময়ে দেড় থেকে দুকোটি মানুষের কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তিনি দাবি করেছিলেন, বাংলা এখন ১০০ দিনের কাজে, স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং দক্ষতা বাড়ানোর নম্বর ওয়ান। পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরে তিনি বলেছিলেন, আগামী পাঁচ বছরে রাজ্যে দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
দেড় থেকে দুকোটির ফারাক
অধীর চৌধুরী এদিন আলিমুদ্দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংখ্যাতাত্ত্বিক দাবিকে কটাক্ষ করতে গিয়ে বলেছেন, দেড় থেকে দুকোটি সংখ্যাটাই আদিগঙ্গার কাদা জলের মতো পদক্ষেপ। আর যদি তা বানানো হয়, তাহলে যা দেড়, তাই দুই। তিনি বলেন, যদি ধরেও নেওয়া যায় রাজ্যের ২ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত তিনি করেছেন, তাহলে দুকোটি পরিবার উপকৃত হয়েছে। সংখ্যার নিরিখে অন্তত আটকোটি মানুষের খাওয়া-পরার কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়। কিন্তু রাজ্যের মানুষের বাস্তবিক পরিস্থিতি কি তাই? তিনি আরও বলেছেন, যদি দুকোটি মানুষের কাজের বন্দোবস্ত হয়ে থাকে তাহলে ১০০ দিনের কাজের শ্রমিক পাওয়ার কথা নয় রাজ্যে।
অধীর চৌধুরীর শ্লেষ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিকে শ্লেষের সুরে তিনি বলেছেন, এখন বোঝা যাচ্ছে আদি গঙ্গার জল কেন শুকিয়ে যাচ্ছে। দিদিমণি হিসেবে হোর্স পাইপ দিয়ে জল মিশিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, যদি মুখ্যমন্ত্রীর দাবি সঠিক হয়, তাহলে তো তৃণমূল কর্মীও খুঁজে পাওয়া যাবে না, কেননা করে কম্মে খাওয়ার জন্যই তো তৃণমূল কংগ্রেসের ছাতার তলায় যাওয়া।
বাংলা ছেড়ে কেন ভিন রাজ্যে যাচ্ছে যুবকরা
মুখ্যমন্ত্রীকে
একটা
সময়ে
বলতে
শোনা
গিয়েছিল
তাঁর
সরকার
৯৯
শতাংশ
কাজ
করে
দিয়েছে।
তাই
গত
ডিসেম্বরে
সরকারের
দুয়ারে
সরকার
কর্মসূচির
পরে
বিরোধীরা
প্রশ্ন
তুলেছিলেন,
যদি
৯৯
শতাংশ
কাজ
হয়ে
গিয়ে
থাকে
তাহলে
দুয়ারের
সরকারের
প্রয়োজন
পড়ল
কেন।
করোনা
লকডাউন
শুরু
পরেই
রাজ্যে
প্রকৃত
কর্মসংস্থানের
দাবির
বিষয়টি
সামনে
আসে।
লক্ষ
লক্ষ
যুবক
ঘরে
ফিরতে
শুরু
করেন।
যার
মধ্যে
ছিল
অধীর
চৌধুরীর
জেলা
মুর্শিদাবাদও।
বিষয়টিকে
সামনে
রেখেই
তিনি
বলেছেন,
রাজ্যে
যদি
কর্মসংস্থানের
সুযোগ
তৈরি
হত,
তাহলে
এতসংখ্যক
মানুষকে
ভিনরাজ্যে
যেতে
হত
না।