মুকুল- শুভেন্দুর উপস্থিতিতে বিজেপির মঞ্চে ভুল 'জাতীয় সঙ্গীত'! বিস্ফোরক অভিষেক
মুকুল- শুভেন্দুর উপস্থিতিতে বিজেপির মঞ্চে ভুল 'জাতীয় সঙ্গীত'! বিস্ফোরক অভিষেক
এযাবৎ কালের মধ্যে বিজেপির (bjp) সব থেকে বড় সভা এদিন হল হাওড়ার ডুমুরজলায়। উপস্থিত রাজ্য নেতৃত্বের প্রায় সকল শীর্ষস্থানীয় নেতারা, উপস্থিতি একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁদের উপস্থিতিতে ভুল জাতীয় সঙ্গীত (national anthem) পরিবেশনের অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে টুইটারে সরব হয়েছেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (abhishek banerjee) ।
শুভেন্দুর পর নতুন স্লোগান রাজীবের মুখেও! দল বদলেই নতুথ শপথ
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম সভা
এদিন ডুমুরজলার সভা ছিল বিজেপিরতে যোগ দেওয়ার পরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম সভা। যেহেতু শনিবার রাতে দিল্লিতে অমিত শাহের বাড়িতে গিয়ে তিনি ও সঙ্গে থাকা প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়া, পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় এবং রুদ্রনীল ঘোষ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাই সভায় এদিন তাঁদের কোনও যোগদান পর্ব ছিল না। অনেকেই ভিড় করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময়ের ব্লু-আইড নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রীকে আক্রমণ করে কিছু বলেন কিনা। তবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ত্যাগের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি হাতে রাখলেও, এদিনের সভা থেকে দুয়ারে সরকার, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে ভাঁওতা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি স্লোগান তুলেছেন চলো পাল্টাই বলে। কেন্দ্রের সঙ্গে ঝামেলায় রাজ্যের উন্নয়ন স্তব্ধ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন রাজীব।
বিজেপির মেগা সভা
এদিনের সভা ছিল এযাবৎকালের মধ্যে বিজেপির মেগা সভা। দর্শকের উপস্থিতি থেকে হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রী হাজির অনেকেই। হাজির ছিলেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং দেবশ্রী চৌধুরী। ছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, জাতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতারা।
|
সভার শেষে ভুল জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের অভিযোগ
এদিন সভার শেষে ভুল জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ তুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিডিও টুইট করে, ভুল অংশটি তুলে ধরেছেন অভিষেক। একইসহ্গে বিজেপি কটাক্ষ করে বলেছেন, দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে যাঁরা প্রচার করেন, তাঁরা জাতীয় সঙ্গীত এভাবে গাইতে পারেন না। প্রসঙ্গত, এত হেভিওয়েট নেতার উপস্থিতিতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। যাঁরা মাইকে জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন, বিজেপির তরফে যাঁদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। কেননা সমানে স্টেজে ছিলেন বিজেপির তাবড় নেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।
ক্ষমা চাওয়ার দাবি
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেছেন, এই দলটি ভারতের সম্মান ও গর্বকে ধরে রাখার দাবি করে, সেটাই লজ্জার। অ্যান্টি ন্যাশনাল অ্যাক্টে কেন এঁদের শাস্তি হবে না। এব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমে মন্তব্য করতে গিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, বিষয়টি সঠিকভাবে দেখতে হবে কোথায় ভুল হয়েছে। তহে এই ধরনের কিছু হয়ে থাকলে তা দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।