বাম-কংগ্রেস-আব্বাসের জোটে 'জট', শেষ মুহুর্তে আব্দুল মান্নানের চিঠিতে জল্পনা
বাম-কংগ্রেস-আব্বাসের (left-cong-abbas) জোটে শেষ মূহুর্তে জট তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে কার্যত অস্বস্তিতে কংগ্রেস। কেননা আব্বাসের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরমহলে বিরোধিতা তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্ন
বাম-কংগ্রেস-আব্বাসের (left-cong-abbas) জোটে শেষ মূহুর্তে জট তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে কার্যত অস্বস্তিতে কংগ্রেস। কেননা আব্বাসের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরমহলে বিরোধিতা তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান (abdul mannan) চিঠি পাঠিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে (sonia gandhi) । যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির অভিনব প্রতিবাদ, নাড্ডার সফরের দিনেই 'ব্যাটন' হাতে মমতা
আব্বাসের সঙ্গে আসন রফায় এগিয়ে সিপিএম
প্রথমে জোটটা ছিল বাম-কংগ্রেসের। সূর্যকান্ত মিশ্র-বিমান বসু, প্রদীপ ভট্টাচার্য-আব্দুল মান্নানদের আলোচনা যথেষ্টই এগিয়ে গিয়েছিল। ২৩০ আশনে নিজেদের সমঝোতার কথা জানিয়েছিল দুই শিবিরই। এরমধ্যে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের আব্বাস সিদ্দিকিকে জোটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দুপক্ষই। এব্যাপারে সিপিএম এবং কংগ্রেস আলাদা আলাদা করে আলোচনায় বসে আব্বাসের শিবিরের সঙ্গে। তবে এব্যাপারে সিপিএম তথা বামেরা আব্বাসের শিবিরের সঙ্গে আলোচনায় যথেষ্টই এগিয়ে রয়েছে। ভাঙড়, নন্দীগ্রামের মতো একসময়ে বাম আসন আব্বাসের হাতে তুলে দিয়ে আব্বাসের দাবির সঙ্গে সহমত হয়েছে। যার জেরে মুর্শিদাবাদকে বাদ দিয়ে দক্ষিণবঙ্গে জোটে জট কার্যত নেই বললেই চলে।
যত বাধা মালদহ-মুর্শিদাবাদকে নিয়ে
পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের চিরাচরিত বেশ কিছু আসন দাবি করে বসে আছে। সেখানেই তৈরি হয়েছে জোটে জট। সূত্রের খবর অনুযায়ী অধীর চৌধুরী এই দুই জেলায় আব্বাসের দাবিকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে রাজি নন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এব্যাপারে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য চিঠি লিখেছিলেন সোনিয়া গান্ধীকে। তিনি বিষয়টি নিয়ে কেসি বেনুগোপালকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
মান্নানের চিঠি সোনিয়াকে
বাম তথা সিপিএম-এর তরফে আব্বাসের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে পলিটব্যুরো নেতা মহঃ সেলিম। অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে সেই আলোচনায় ছিলেন বিরোধী দলনেতা আবব্দুল মান্নান। কিন্তু মালদহ-মুর্শিদাবাদ নিয়ে কংগ্রেসের অভ্যন্তরেই বিরোধ তৈরি হয়েছে। এই দুই জেলায় একটিও আসন ছাড়তে রাজি নয় কংগ্রেসের একটি অংশ । যে কারণে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চাইলেন আব্দুল মান্নান। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি চিঠিতে লিখেছেন, দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা করেও রফাসূত্র মিলছে না। দলের একাংশের অনড় মনোভাবের কারণে জোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে না। সেই কারণেই তিনি সরে যেতে চান।
কংগ্রেসে অসন্তুষ্ট আব্বাস
কংগ্রেসের আচরণে ইতিমধ্যেই আব্বাস সিদ্দিকি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলে দিয়েছেন, জোট প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না হলে ২৮ ফেব্রুয়ারি ভাঙড়ের সভায় যোগ দেবেন না। তবে সিপিএম-এর সঙ্গে তার কোনও সমস্যা নেই। তিনি যা দাবি করেছেন, সিপিএম কার্যত তা মেনে নিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে আব্দুল মান্নানের চিঠি কার্যত জোটে জটিলতাই ডেকে এনেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটি বড় অংশ।